পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ, তবুও রক্ষা হয়নি
Published: 20th, February 2025 GMT
নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলো না ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ নেতা নায়েব আলীর (৪৮)। পরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নায়েব আলী নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি। তিনি নিমাইচড়া গ্রামের নজের আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন:
একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে যেতে পুলিশের নির্দেশনা
শহীদ মিনার ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন নায়েব আলী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করতে বিশ্বনাথপুর এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে দেখে নায়েব আলী গুমানী নদীতে ঝাঁপ দেয়। এক পর্যায়ে নদীর থেকে তাকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ সদস্যরা। তিনি চাটমোহর থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলার অন্যতম আসামি।
হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই তাহের আলী বলেন, ‘‘আমরা গিয়ে নায়েব আলীকে নদীর মাঝখানে দেখতে পাই। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে চাটমোহর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম জানান, বেশ কিছুদিন ধরে নায়েব আলী আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহায়তায় চাটমোহর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর ন য় ব আল
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি
শ্রমিক সমাজের মুক্তির জন্য ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে র্যালি, আলোচনা সভা ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল থেকে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
গাজীপুরে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া যে শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব না, তা আজ প্রমাণিত। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও বিদ্যমান শ্রম নীতিমালাই বাস্তবায়ন করা যায়নি। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, জিডিপির আকার বড় হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। টাকার অংকে শ্রমিকের বেতন বাড়লেও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত মজুরি বরং আরো কমেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে ভিত্তি বানাতে না পারলে শ্রমিকের ভাগ্য কোনোদিনই পরিবর্তন হবে না।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগে তার নির্বাচনি এলাকায় শ্রমিক-জনতা সমাবেশে বলেছেন, ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নে সামগ্রিক আন্দোলন করা ছাড়া শ্রমিকের সামনে আর কোনো পথ নেই। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সে পথেই হাঁটবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস কেবল একটি দিন নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্যতার প্রতীক। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই এ চেতনাকে ধারণ করে শ্রমজীবী জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী যে উদ্দীপনা ও অংশগ্রহণ আমরা দেখেছি, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।
মে দিবসে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মাগুরা, মেঘনাঘাটসহ সাংগঠনিক জেলাগুলো সভা-সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক