বরিশালে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের কর্মসূচি শেষে রাস্তার পাশে খিচুড়ি খাওয়ার সময় বাসচাপায় মানিক গাজী (৬০) নামে এক শ্রমিক দল কর্মী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপরে উজিরপুর উপজেলার পূর্ব ধামসর সোনার বাংলা বাজার এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মানিক গাজী উপজেলার পশ্চিম ওটরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত শ্রমিকেরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উজিরপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক দলের মে দিবসের কর্মসূচি শেষে রাস্তার পাশে বসে খিচুড়ি খাচ্ছিলেন মানিক গাজী। এ সময় ঢাকা থেকে বরিশালগামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁকে পেছন থেকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্ঘটনার পর বাসটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন  ধাওয়া করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এস জলিল সেতুর কাছাকাছি এলাকা থেকে বাসটিকে আটক করে সোনার বাংলা বাজারে নিয়ে যান এবং পুলিশে সোপর্দ করেন।

গৌরনদী হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলেছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ম বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ