পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া শ্রমিক-মেহনতি মানুষের মুক্তি নেই
Published: 1st, May 2025 GMT
নব্য পুঁজিবাদের আক্রমণে শ্রমিকদের অর্জিত অধিকার সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ও তাকে পরাজিত করা ছাড়া শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তি সম্ভব নয়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে শ্রমিক-মেহনতি মানুষ নির্মমভাবে শোষিত, আট ঘণ্টা শ্রমের দাবি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে অর্জিত অধিকারগুলো হারিয়েছে। পাট, বস্ত্র, সুতাকল একে একে বন্ধ হয়ে গেছে, হাজার হাজার শ্রমিক বেকার। শাসকশ্রেণির এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পরও দেশে অনেক গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিকরা কাজ করেও বেতন পাচ্ছে না, মালিকরা তাদেরকে রাস্তায় ঠেলে দিচ্ছে। দেশে ৬ লক্ষাধিক আউটসোর্সিং শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছে, এদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই, সংগঠন করার অধিকার নেই। এদের শ্রম আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে, যা গর্হিত অপরাধ। পূর্বের সরকারগুলোর ন্যায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও মালিকদের স্বার্থরক্ষা করছে। গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবেও কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ৩০ হাজার টাকা জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে। কারখানায় শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাঁটাই-নির্যাতন, হামলা-হামলা ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ বলেন, পাকিস্তান আমলে মে দিবস পালন নিষিদ্ধ ছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে এটা আমরা অর্জন করেছি। সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, আঞ্চলিকতা শ্রমিকদের বিভক্ত করে ঐক্য নষ্ট করে। তাই তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ ও আঞ্চলিকতার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিব লাবলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম, শ্রমিকনেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম দ বস
এছাড়াও পড়ুন:
কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ
তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?
সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’
এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’
আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫