পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত ও অপহরণ নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে এই অঞ্চলে বিদেশি নাগরিক, রাজনৈতিক নেতাসহ নানাজনকে অপহরণের ঘটনা দেশ ছাড়িয়ে আলোচিত হয়েছে বহির্বিশ্বেও। সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে অপহরণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে, যা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সংঘটিত চাঞ্চল্যকর কিছু অপহরণের ঘটনা জানা যাক।

তিন বিদেশি অপহরণ (২০০১)

২০০১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির নানিয়ারচরে অপহৃত হন ডেনমার্কের উন্নয়ন সংস্থা ড্যানিডার তিন কর্মকর্তা। ড্যানিডা নিযুক্ত সড়ক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কেমসেক্স ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে রাঙামাটি-মহালছড়ি সড়কের প্রশস্ততা বাড়ানোর কাজে তথ্যানুসন্ধানের জন্য ওই ব্যক্তিরা সেখানে গিয়েছিলেন। তিনজনই ছিলেন ইউরোপীয়। এই ঘটনা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও আলোড়ন তোলে।

অপহৃত তিনজন বিদেশির মধ্যে টারবেন মিকেলসন (৩৮) ও নিলস হুলগার্ড (৬৩) ছিলেন ডেনমার্কের অধিবাসী। অপরজন টিম সেলবি (২৮) ছিলেন ইংল্যান্ডের নাগরিক। অপহরণের পর দেশ দুটির রাষ্ট্রদূত তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে দেখা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে। আলোচনাও চলতে থাকে। অপহরণকারীরা ৯ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন।

দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ফলাও করে এই সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। ১৯ ফেব্রুয়ারি সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার রাঙামাটিতে এক ব্রিফিংয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান গণমাধ্যমকর্মীদের। একই সময়ে তিনি অপহরণের জন্য পার্বত্য চুক্তির বিরুদ্ধে থাকা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেন। পার্বত্য চুক্তির পরের বছর দলটির জন্ম হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও দলটিকে অপহরণের দায় দেয়।

১৯ ফেব্রুয়ারি অপহৃত মিকেলসনের লেখা একটা চিরকুটও প্রদর্শন করেন দীপংকর তালুকদার। ওই চিরকুট তিনি স্ত্রীর উদ্দেশে লিখেছিলেন। তাতে তাঁরা অপহরণকারীদের জিম্মায় ভালো আছেন বলে বার্তা দিয়েছিলেন। অবশ্য মিকেলসনের উৎকণ্ঠিত স্ত্রী ডিভিনা টরবেন পরে ইংল্যান্ড থেকে সন্তানদের নিয়ে রাঙামাটি চলে আসেন। রাঙামাটির কাউখালীর এক দুর্গম এলাকা থেকে ১৭ মার্চ এই তিন বিদেশির মুক্তি মিলেছিল।

মুক্তির পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাবি করে, তাদের সঙ্গে অপহরণকারীদের ব্যাপক (১০০টির বেশি) গোলাগুলি হয়। কিন্তু অপহৃত তিন বিদেশি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উদ্ধারের সময় অপহরণকারীদের সঙ্গে কোনো গোলাগুলি হয়নি। তাঁরা কেবল দু-একটি গুলির শব্দ শুনেছেন।

শেল অয়েলের ৬ জন অপহরণ (১৯৮৪)

১৯৮৪ সালে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি সিজকমুখ এলাকা থেকে অপহৃত হন তেল অনুসন্ধানকারী শেল অয়েলের ছয় কর্মকর্তা। প্রথমে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। বাকি তিনজনকে প্রায় এক মাস পর এক কোটি টাকা ও সোনার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয় বলে ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম আলো পত্রিকার খবরে প্রকাশ হয়েছিল। পার্বত্য চুক্তির আগে সংঘটিত আলোচিত এ ঘটনার জন্য জেএসএসের সামরিক সংগঠন শান্তিবাহিনীকে দায়ী করা হয়।

টেলিটকের পাঁচ কর্মী অপহরণ (২০১৩)

২০১৩ সালের ৮ জুলাই রাঙামাটির বাঘাইছড়ি থেকে অপহরণ করা হয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের পাঁচ কর্মীকে। তাঁদের কাছ থেকে মুক্তিপণও দাবি করা হয়। এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপহরণের ১৭ দিন পর ২৬ জুলাই খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় তাঁরা জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান।

মুক্তির পর টেলিটকের কর্মী মো.

আখতারুজ্জামান বলেছিলেন, অপহরণের পর তাঁদের তিন দিন একটি মাটির ঘরে রাখা হয়েছিল সশস্ত্র পাহারায়। এরপর বিভিন্ন পাহাড়ে ঘোরানো হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন জানায়, অপহৃতদের মুক্তির জন্য কোনো মুক্তিপণ দিতে হয়নি।

জেএসএসের ৭০ নেতা-কর্মী অপহরণ (২০১৩)

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার কাট্টলীবিল থেকে জেএসএসের ৭০ নেতা-কর্মীকে অপহরণ করা হয় ২০১৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। লংগদু ও বাঘাইছড়ি থেকে নৌকাযোগে রাঙামাটি সদরে জেএসএসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। একটি সশস্ত্র দল কাট্টলীবিল এলাকায় নৌকাটিকে জিম্মি করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনার জন্য জেএসএস ইউপিডিএফকে দায়ী করে। তবে ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
অপহরণের এই ঘটনা অপহৃত ব্যক্তিদের সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বড়। অপহৃত ব্যক্তিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দিতে এক বছরের মতো সময় পার হয়। মুক্তিপণও দিতে হয়েছিল বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

কল্পনা চাকমা অপহরণ (১৯৯৬)

১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নিজ বাড়ি থেকে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ১২ জুন ছিল ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই বছরের ১৩ জুন এ ঘটনায় বাঘাইছড়ি থানায় মামলা করেন কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা। তবে ৩৯ জন কর্মকর্তা তদন্ত করেও বারবার মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। গত বছরের ২৩ এপ্রিল কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলাটি রাঙামাটির আদালতে খারিজ করে দেওয়া হয়।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অপহরণ (২০২৪)

বম জনগোষ্ঠীর কিছু তরুণ ও যুবকের উদ্যোগে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সংগঠন ২০২২ সালে প্রকাশ্যে আসে। সংগঠনটির কার্যক্রম মূলত বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ি এলাকায় দেখা যায়। গত বছরের ২ এপ্রিল কেএনএফ রুমা বাজারে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে।

রাত ৯টার দিকে কেএনএফের সশস্ত্র দল ব্যাংকে হামলা চালায়। তারা ব্যাংকের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্য এবং অন্য লোকজনকে জিম্মি করে। এরপর পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে দুটি সাব-মেশিনগানসহ (এসএমজি) ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দীনকে অপহরণ করেন কেএনএফ সদস্যরা। তাঁর মুক্তির জন্য ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ৪৮ ঘণ্টা পর মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে।

দুই নেত্রী অপহরণ (২০১৮)

২০১৮ সালের ১৮ মার্চ হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দয়া সোনা চাকমাকে অস্ত্রের মুখে কুতুকছড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়৷ এ ঘটনার প্রতিবাদে ২১ মার্চ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ইউপিডিএফ। এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে দায়ী করা হয়। এর আগের বছর ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর মূল ইউপিডিএফ ভেঙে তপনজ্যোতি চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ইউপিডিএফ শুরু থেকে ছিল প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন। অপহরণের ৩১ দিন পর ১৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির মধুপুর এলাকায় অপহৃত ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

পাঁচ পিসিপি নেতা অপহরণ (২০২৫)

১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ির কুকিছড়া থেকে অটোরিকশায় সদরে যাওয়ার পথে গিরিফুল নামক জায়গায় অপহৃত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। তাঁরা সবাই জেএসএস সমর্থিত ছাত্রসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) নেতা। অপহৃতরা হলেন রিশন চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, দিব্যি চাকমা, লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা।
পিসিপির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁদের দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি চাইছি। অপহৃতরা সবাই পিসিপির নেতা-নেত্রী’। অপহরণের ঘটনায় জেএসএসের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্যা মারমা।

যেসব কারণে অপহরণ

সমতলে বেশির ভাগ অপহরণের ঘটনা থাকে মূলত মুক্তিপণ আদায়কেন্দ্রিক। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক অপহরণের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিবাদ। জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, অপহরণ সমতলেও হচ্ছে। পাহাড়ে বিভিন্ন বিবদমান দল রয়েছে, সেটি এ ধরনের ঘটনার একটি কারণ। এ ছাড়া এর পেছনে পাহাড়ের প্রশাসনের ভূমিকাও কিছুটা দায়ী। পার্বত্য চুক্তির আগে-পরে আন্দোলন, চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রগতি কম থাকা কিংবা আরোপিত অনেক বিষয় এসব ঘটনার পেছনে কাজ করে। আসল রোগ না সারানোর কারণে অপহরণ কিংবা সংঘাতের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অপহরণক র দ র অপহরণ র ঘটন এ ঘটন র জন য জ এসএস র অপহরণ ক ন র জন য ব ঘ ইছড় ত র পর য় অপহ অপহ ত স গঠন বছর র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা

শেখ হাসিনা সরকার পতনের বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ নৈরাজ্য করতে পারে-এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ইউনিটকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। সেই চিঠিতে ২৯ জুলাই হতে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালকে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (রাজনীতিক উইং) এ সংক্রান্ত চিঠিতে এ সময়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনাসহ যানবাহন তল্লাশির পরামর্শও দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এসবি প্রধান গোলাম রসুল গণমাধ্যমকে বলেন, “এটা কোনো এক মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তবে আমরা কোনো বিশেষ দিন-অনুষ্ঠান ঘিরে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ-নির্দেশনা দিয়ে থাকি, এটা আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ।”

আরো পড়ুন:

সিজু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

অধ্যাপক জওহরলাল বসাকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
  • জুলাইয়ে মব তৈরি করে ১৬ জনকে হত্যা, অজ্ঞাতনামা ৫১ লাশ উদ্ধার
  • শৈলকুপায় ইউপি কার্যালয়ে তালা, বিএনপি নেতাসহ আটক ৬
  • ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ায় বিএনপি নেতা আটক
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির অনেকের জীবননাশের হুমকি ছিল, আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে
  • ‘ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন হওয়া দেশকে স্থিতিশীলতায় ফিরিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার’
  • নারায়ণগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নিধারণ হচ্ছে
  • কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • রাঙামাটির পাহাড়ে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান