নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন: রিজভী
Published: 1st, May 2025 GMT
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচিত সরকার না থাকায় পুনরায় ফ্যাসিবাদ মাথাচড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে হলে এখন দেশে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। তাই কোনো খোঁড়া অজুহাত না দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বরিশালে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের আয়োজনে নগরীর সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রিজভী বলেন, ২২৭ মামলার আসামি হয়ে ভারতে পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানে থেকে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন। আর ওই বার্তায় মামলার বাদীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। এখন সবচেয়ে বড় যে কাজ তা হচ্ছে শেখ হাসিনার বিচার অনতিবিলম্বে শেষ করা। অন্যথায় দেশে পুনরায় ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করতে হবে।
মহানগর শ্রমিক দল আহ্বায়ক মো.
সমাবেশ শেষে টাউন হলের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ থেকে চকবাজার হয়ে গির্জা মহল্লা হয়ে টাউন হলের সামনে এসে শেষ হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র ল ইসল ম সদস য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন
সাধারণ নির্বাচনে জয় পাওয়ার পরে সোমবার রাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি তার ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তুলোধুনো করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে ‘ভেঙে ফেলতে’ চেয়েছিলেন।
লিবারেলদের এই বিজয় এক অলৌকিক রাজনৈতিক পুনরুত্থান এবং কার্নির জন্য একটি যুগান্তকারী বিজয় হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কারণ কার্নির পূর্বসুরি জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের ওপর সমর্থন তুলে নিয়েছিল জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন মধ্য-বামপন্থি নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি। এর পর গত বছরের ডিসেম্বরে হঠাৎ করে অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগ করেন। এক সপ্তাহের মধ্যে লিবারেল পার্টির ২১ এমপি ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে প্রকাশ্যে আহ্বান জানান। জনগণের চাপে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ট্রুডো। পরে ঘোষণা আসে আগাম নির্বাচনের।
ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়েও হুমকি দিতে ছাড়েননি তিনি। দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প।
কার্নি তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ট্রাম্প “আমাদের ভেঙে ফেলতে চান, যাতে আমেরিকা আমাদের মালিক হয়। তবে এটা কখনও হবে না।”
তিনি বলেন, “আমেরিকান বিশ্বাসঘাতকতার ধাক্কা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমরা কখনই শিক্ষা ভুলব না।”
নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদিও আমরা সরকারকে জবাবদিহি করার এবং আরও ভালো বিকল্প প্রস্তাব করার আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করব, তবুও আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক এবং অন্যান্য দায়িত্বজ্ঞানহীন হুমকি উপেক্ষা করার সময় কানাডাকে সবসময় প্রথমে রাখব।”
দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “রক্ষণশীলরা বিতর্কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং আমরা সারা দেশে আমাদের জনগণের জীবন উন্নত করার জন্য সর্বোত্তম যুক্তিগুলো তুলে ধরতে থাকব।”
ঢাকা/শাহেদ