দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ।

সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন শিল্প এলাকায় বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের ন্যায়সংগত আন্দোলনে গুলি চালিয়ে ও লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের মারা হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলন ও ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে।

মহান মে দিবসে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জিপিওর সামনে লাল পতাকা সমাবেশ করে জাসদের শ্রমিক জোট। সেখানে সংগঠনটির নেতারা নানা অভিযোগ করেন।

শ্রমিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার খোরশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কনক বর্মন, গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, মিরপুর আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি জেসমিন শিলা ও সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, গৃহকর্মী শ্রমিক জোটের সভাপতি জেসমিন জুঁই প্রমুখ বক্তব্য দেন। এতে সংহতি জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাসদের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুব জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন খান, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মজীবী–শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন শিল্প এলাকায় বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকদের ন্যায়সংগত আন্দোলনে গুলি চালিয়ে ও লাঠিপেটা করে শ্রমিকদের মারা হয়েছে। শ্রমিক আন্দোলন ও ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে।

বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও ন্যায্য মজুরির দাবি তুললেই কলকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, রাজনৈতিক হিংসা-প্রতিহিংসার কারণেও শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। শ্রমিকদের চাকরি ও কাজের নিশ্চয়তা স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে কমে গেছে। শ্রমিক-কর্মচারী-শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

ন্যূনতম জাতীয় মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, সব ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরি ও কাজের নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তার দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানানো হয় এই সমাবেশ থেকে।

সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, গুলিস্তান, পল্টন, তোপখানা রোড ও প্রেসক্লাব এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ কর্মসূচিতে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের শিল্পাঞ্চল থেকে গার্মেন্ট শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, জাতীয় পোশাক শিল্প শ্রমিক জোট, জাতীয় পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক জোট, পরিবহন হকার্স জোট, জাতীয় নির্মাণ শ্রমিক জোট, মৎস্যজীবী শ্রমিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক–কর্মচারী লাল পতাকা, জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে যোগ দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ রমজ ব স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

মতলবের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারির অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির দুই নেতাকে দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চাঁদাবাজি, দখলদারি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মান্নান লস্কর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। এর মধ্যে মতলব উত্তরের আবদুল মান্নান লস্করকে চাঁদাবাজির মামলায় গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবদুল মান্নান লস্কর ও আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই একই অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইমাম হোসেন গাজীকেও দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  

এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদের (মানিক) মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, ওই দুই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জেনেছেন। তবে এ ব্যাপারে  চিঠি এখনো পাননি। যেকোনো বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটি অন্যান্য নেতার জন্যও একটি বার্তা ও শিক্ষা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রত্বের ভুয়া পরিচয় দেন সভাপতি, কমিটি ঘোষণার দিন শর্ট কোর্সে ভর্তি হন সম্পাদক
  • তিন বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের
  • দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের থেকে তরুণদের দূরে থাকতে হবে: মজিবুর রহমান
  • শিশু নাঈমের পাশে ইবি ক্রিকেট ক্লাব
  • ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা, নিয়মিত ছাত্রত্ব নেই সভাপতি ও সম্পাদকের
  • মতলবের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারির অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার
  • ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত
  • প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ