দিলীপ কুমার আর মধুবালার সম্পর্ক ছিল বলিউডে বহুল চর্চিত বিষয়। কিন্তু দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকলেও মধুবালাকে বিয়ে করেননি দিলীপ কুমার। কিন্তু কেন? সে কথা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন আরেক অভিনেত্রী মুমতাজ। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দিলীপ কুমার ও মধুবালার সম্পর্ক ভাঙার কারণ জানান মুমতাজ। তিনি বলেন, ‘সে (মধুবালা) সম্পর্ক ভাঙেনি বরং তিনিই (দিলীপ কুমার) সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আছেন। কারণ, অসুস্থতার জন্য মধুবালা সন্তান ধারণ করতে পারবেন না। তাই তিনি মধুবালার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন। সায়রা দারুণ মানুষ, মৃত্যুর আগপর্যন্ত তাঁর খেয়াল রেখেছেন। সায়রা আসলে ছিলেন দিলীপ কুমারের ভক্ত, দুজনের মধ্যে বয়সের ব্যবধানও অনেক। তবে আপনি যখন প্রেমে পড়েন, এসব কিছুই মনে থাকে না।’

দিলীপ কুমার ও মধুবালার প্রেম নিয়ে মুমতাজ আরও বলেন, ‘তাঁদের প্রেম নিয়ে সবাই খুব খুশি ছিলেন, হয়তো তাঁরা নিজেরাও খুশি ছিলেন। মধুবালা তো দিলীপ কুমারের জন্য পাগল ছিল। কিন্তু দিলীপ কুমার বাবা হতে চেয়েছেন। সম্ভবতই এ কারণেই তিনি মধুবালা নয়, সায়রাকে বিয়ে করেন।

মধুবালা ও দিলীপ কুমার। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ