শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
Published: 1st, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”  
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে একটি রোডম্যাপ বাস্তবায়ন ও শ্রমমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নতি করতে আমরা কাজ করছি। যার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সমন্বিত জাতীয় পরিকল্পনাও রয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (১ মে) মহান মে দিবস ও জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
আল জাজিরাকে প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারকে মানুষ এখনও ভালো সমাধান মনে করছে
এ বছরের প্রতিপাদ্য, ‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে গড়ব এদেশ নতুন করে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ছাত্র-শ্রমিক-জনগণের অভ্যুত্থান একটি নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছে। তবে সেই নতুন বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ নেবে না, যদি শ্রমিকদের অবস্থা আগের মতোই থেকে যায়। আজকের স্লোগানটি আমাদের দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।”
তিনি বলেন, “শ্রমিক মালিকের সুসম্পর্কের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। শ্রমিক ও মালিক পরস্পরের পরিপূরক। পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা একটি আত্মনির্ভরশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব বলে বিশ্বাস করি।”
শ্রমিকদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, “দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হলে মালিক শ্রমিকের ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শ্রমিকের সম্ভাবনা বিকাশের মাধ্যমে দেশ গঠনে তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে অঙ্গীকার অনুযায়ী আগামী জুনে অনুষ্ঠিতব্য ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ। আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো শ্রম কমিশনের রিপোর্ট ও সুপারিশমালা। এই সুপারিশমালাই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য। আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”
ড.                
      
				
শ্রমিকের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি শিল্প রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যেসব কারখানায় বকেয়া বেতন নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ ছিল, সেখানে আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক পর্যায়ে বকেয়া পরিশোধ করে কর্মপরিবেশ সচল রাখা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশকে নতুন করে গড়তে হলে শ্রমিক-মালিকের ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”
“দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে উজ্জীবিত হয়ে শ্রমিকের অধিকার রক্ষা, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শ্রমিক মালিকের পারস্পরিক সুসম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে এক যোগে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতা-শ্রমিকের অভ্যুত্থানের মতো বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া আর স্বপ্ন থাকবে না, বাস্তবতা হবে।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, শ্রম সংস্থা কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান প্রমুখ।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ চ ত কর পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।”
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না।
“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।
আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
ঢাকা/এএএম/ইভা