জমি নিয়ে বিরোধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
Published: 1st, May 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গফরগাঁও থানায় গত বছরের নভেম্বরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। তিনি রসুলপুর ইউনিয়নের ভরভরা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, আলাল উদ্দিন ১৯৯৯ সালে ভরভরা গ্রামের রুস্তম আলীর কাছ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি কিনে নেন। রুস্তম আলী ওই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর আলাল উদ্দিন ও তাঁর ছেলেরা প্রায় দুই যুগ ধরে সেখানে চাষাবাদ করে আসছেন। গত আমন মৌসুমে আলাল উদ্দিন জানতে পারেন, তিনি রুস্তম আলীর (বর্তমানে মৃত) কাছ থেকে যে জমি কিনে ভোগদখল করে আসছেন, সাফকবলা দলিলপত্রে উল্লেখ করা দাগ নম্বরের সঙ্গে ওই জমির দাগ নম্বরের মিল নেই।
আলাল উদ্দিনের কেনা জমির দলিলপত্রে আলালপুর মৌজার যে দাগ নম্বরের উল্লেখ রয়েছে, সেটাও রুস্তম আলীর জমি। কিন্তু ওই জমি রুস্তম আলী ১৯৯৪ সালে অন্যজনের কাছে বিক্রি করেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দুই পক্ষ সালিশ বৈঠক ডাকে। সালিশে সিদ্ধান্ত হয় আলাল উদ্দিন যে জমি ভোগ করছেন সেই জমির দলিলপত্র সংশোধন করে দেওয়ার। কিন্তু রুস্তম আলীর ছেলেরা সালিশের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। উপায়ান্তর না পেয়ে দাগ নম্বর সংশোধনীর জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন আলাল উদ্দিন।
আদালত বিক্রেতা পক্ষকে তাদের দলিলপত্র নিয়ে আদালতে হাজির হতে নোটিশ পাঠান। নোটিশ পেয়ে আলাল উদ্দিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রুস্তম আলীর ছেলেরা। আলাল উদ্দিনের রোপণ করা ধান কেটে নিয়ে জমিটি দখল করে প্রতিপক্ষ। এর পর থেকে হুমকি দিয়ে আসছেন অভিযুক্তরা।
হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে রুস্তম আলীর ছেলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘আলাল আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করেছেন। এখন যা করবে প্রশাসনই করবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ
এছাড়াও পড়ুন:
সমু চৌধুরীর গামছা পরা ছবির আসল গল্প কী, এখন কেমন আছেন তিনি
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেতা সমু চৌধুরীর একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে গামছা পরা অবস্থায় গাছের নিচে তিনি শুয়ে আছেন। গতকাল দুপুরে ছবিটা ছড়িয়ে পড়লে অনেকে জানতে চান, কী হয়েছে অভিনেতার? ছবিটি আসল নাকি শুটিংয়ের? ছবির সূত্র ধরে অভিনেতাকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের একটি মাজার থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। এরপর রাখা হয় নিরাপদ স্থানে। দিবাগত রাত তিনটায় সেখানে যান সমু চৌধুরীর চাচাতো ভাই রাইসুল ইসলাম এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের দুই সদস্য সুজাত শিমুল ও জুলফিকার চঞ্চল। এরপর পুলিশ সবার উপস্থিতিতে সমু চৌধুরীকে পরিবারের জিম্মায় তুলে দেয়। এখন এই অভিনয়শিল্পী যশোর সদরের নতুন বাজারের বাসায় বিশ্রামে আছেন। প্রথম আলোকে আজ শুক্রবার দুপুরে খবরটি নিশ্চিত করেছেন রাইসুল ইসলাম।
রাইসুল জানান, সমু চৌধুরী মাজারভক্ত। কাজ না থাকলে প্রায় সময় তিনি মাজারে যান। এবার ঈদ কাটিয়েছেন যশোরে, মায়ের সঙ্গে। ঈদের ছুটি শেষে গত মঙ্গলবার যশোর থেকে ঢাকার মিরপুরের বাসায় ফেরেন তিনি। পরদিন পরিচিত একজনের সঙ্গে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের একটি মাজারে যান, এক কাপড়ে।
রাইসুল ইসলাম বললেন, ‘এক কাপড়ে ময়মনসিংহ যাওয়াতে কোনো কারণে পরনের কাপড় ময়লা হয়। সেখানে তাঁর কয়েকজন ভক্তও ছিলেন। ময়লা কাপড় ধোঁয়ার পর তা শুকাতে দিয়ে তিনি গামছা পরে গাছের নিচে ঘুমাচ্ছিলেন। বাসায়ও তিনি সাদামাটাভাবে এভাবেই চলাফেরা করেন, লুঙ্গি ও গামছা পরে থাকেন, কখনো এভাবে রান্নাবান্নাও করেন। মাজারে গামছা পরে বিশ্রাম নেওয়ার সময় কেউ একজন ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়। এতে তিনি ওই সময়ে মানসিকভাবে ট্রমাটাইজড হয়ে পড়েন ভাইয়া। তিনি কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ, শারীরিক ও মানসিক—দুইভাবে তিনি ভালো আছেন। আমরা তাঁর কাছে যাওয়ার পর পুলিশের সামনেই বলল, আমার তিন ভাই চলে আসছে, এখন আর কোনো সমস্যা নাই। এরপর আমরা গাড়িতে করে তাঁকে নিয়ে যশোরে চলে আসছি।’
ছেলে সমু চৌধুরীর সেলফিতে মা জয়নব চৌধুরী