এই ম্যাচ এভাবেও হেরে যাওয়া যায়—ইংলিশরা নিশ্চিত এমনটাই ভাবছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড। চার ঘণ্টাও টিকল না সেই রেকর্ড। জশ ইংলিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের রেকর্ড ভেঙে জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু করল অস্ট্রেলিয়া।
লাহারে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫১ রান করে ইংল্যান্ড, দলটির ব্যাটসম্যান বেন ডাকেটও গড়েন সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড। রানটা ১৫ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ২১ বছর আগে নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল করেছিলেন ১৪৭ রান, ওই ম্যাচে দলীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডও গড়েছিল নিউজিল্যান্ড ৩৪৭ রান। কাল তাদের ওই দুই রেকর্ডই ভাঙে ইংল্যান্ড। এক ম্যাচে ভেঙে যাওয়া দুই রেকর্ডের পরেরটির জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে জো রুটকেও। অস্ট্রেলিয়ার ‘নতুন’ বোলিং আক্রমণের ওপর ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ছড়ি ঘোরানোর ভিতটা ডাকেটের সঙ্গে মিলে গড়ে দেন রুটই। দলীয় ৪৩ রানের মধ্যেই ফিল সল্ট ও জেমি স্মিথকে হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। এরপর পথ হারিয়ে ফেলার শঙ্কাও জেগেছিল। কিন্তু ডাকেটের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৫৫ বলে ১৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে কক্ষে ফেরাতে সাহায্য করেন রুট। তিনি অবশ্য খুব বেশি দূর যেতে পারেননি, ৭৮ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন রুট।
রুট দ্রুত থামলেও ডাকেট আউট হন ৪৮তম ওভারে গিয়ে। আউট হওয়ার আগে ১৪৩ বলে ১৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১৬৫ রান করেছেন ইংল্যান্ডের ওপেনার। ডাকেটের আউটের পর ইংল্যান্ডের ইনিংসে আলোচনা ছিল সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডটা তারা ভাঙতে পারে কি না। হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার, লিয়াম লিভিংস্টোনরা খুব বেশি রান করতে না পারলেও শেষ দিকে জফরা আর্চারের ঝড়ে রেকর্ডটি নিজেদেরই করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। আর্চার ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ২১ রান। ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বেন ডোয়ারশিস।
বড় রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় পাথেয় হতে পারতেন যাঁরা—সেই ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথ ফেরেন দলীয় ২৭ রানেই। এরপর দলের পক্ষে হাল ধরা জুটিতে ৯১ বলে ৯৫ রান করেন ম্যাথু শর্ট ও মারনাস লাবুশেন। তাঁদেরও অবশ্য ফেরাতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। শর্ট ৬৩ ও লাবুশেন ৪৭ রানে ফেরার পর ইংল্যান্ডের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ান আরেক ইংলিস। তবে জশ ইংলিস ৮৬ বলে ১২০ রান করে ইংল্যান্ডের হার নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন, ম্যাক্সওয়েল ১৫ বলে ৩২ রানে থাকেন অপরাজিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৫১/৮ (ডাকেট ১৬৫, রুট ৬৮; ডোয়ারশিস ৩/৬৬, লাবুশেন ২/৪১, জাম্পা ২/৬৪)।
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭.

৩ ওভারে ৩৫৬/৫ (ইংলিস ১২০*, ক্যারি ৬৯, শর্ট ৬৩, লাবুশেন ৪৭; রশিদ ১/৪৩৭, লিভিংস্টোন ১/৪৭)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জশ ইংলিস।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র কর ড দল য় স র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা

লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’

বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’

পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’ 

পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।

২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক
  • টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
  • মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা