সভাপতি-সম্পাদকসহ সাত পদে বিএনপি-জামায়াত, ৬ পদে আ.লীগ জয়ী
Published: 25th, February 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাত পদে বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ পেয়েছে ছয়টি পদ। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে এ ভোট হয়। গণনা শেষে রাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট তাহির জামিল বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেন।
সমিতি সূতে জানা গেছে, এক বছর মেয়াদি কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে তিনটি প্যানেলে একজন স্বতন্ত্রসহ ৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার ২২৪ জন এবং ভোট দেন ২০২ জন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল (মনিরুল-ডলার পরিষদ) ৬টি, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী ঐক্য প্যানেল পাঁচটি এবং বিএনপি সমর্থিত জেলা আইনজীবী ঐক্য ফ্রন্ট দুটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সম্মিলিত আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের মোহম্মদ ইসাহাক। এ প্যানেল থেকে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ফরিদ আহমেদ জনি, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে আবুল কালাম আজাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সাবিনা ইয়াসমিন ও নাজমুস সাকিব নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আইনজীবী ঐক্য ফ্রন্টের মাহমুদুল ইসলাম কনক। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে এ প্যানেল থেকে এম আব্দুস সালাম বিজয়ী হয়েছেন।
আওয়ামী প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আনজুমান আরা, সহ-সভাপতি সোহরাব আলী, অর্থ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম আজিজি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তানভীর রহমান নিতু এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে এম এম এস মেহেদী হাসান শাওন ও জাহাঙ্গীর আলম বিজয়ী হয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ব এনপ আওয় ম ল গ ন র ব চ ত হয় ছ ন আইনজ ব ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস