পঞ্চগড়ে রেশম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষির সংখ্যাও। রেশমী সুতা উৎপাদনে রেশম চাষিদের ভূমিকাও বাড়ছে দিন দিন।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে রেশম চাষি ও কৃষকদের সমাবেশে এ সব তথ্য জানানো হয়। বোদা উপজেলার সাকোয়া এলাকায় অবস্থিত রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্রে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে বোদা, পঞ্চগড় সদর এবং দেবীগঞ্জ উপজেলার শতাধিক রেশম চাষি অংশ নেয়। এ উপলক্ষে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি সাকোয়া বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সম্প্রসারণ কেন্দ্রে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ড.

এম এ মান্নান। আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক এমদাদুল রাবী, প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান, মনিটরিং কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, সাকোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুর রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহবুব উল হক। এ সময় রেশম চাষিরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ে ৪৩টি ফার্মিং তুত বাগান রয়েছে। তুত গাছ রয়েছে ৭৯ হাজার ৬০০। পলু ঘর রয়েছে ২৫টি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭৭ জনকে পলু পালন সরঞ্জামাদি দেওয়া হয়েছে। শতাধিক চাষি ১৭ হাজার ২০০ ডিম পালন করছেন। এ সব ডিম থেকে ১ হাজার ৩২৩ কেজি রেশমী সুতা উৎপাদন হবে। যার বাজার মুল্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। 

ঢাকা/নাঈম/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চাহিদা ও রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মসলার উৎপাদন বেড়েছে

মসলার স্থানীয় চাহিদা বেড়েছে। একই সঙ্গে বিদেশে রপ্তানিও বাড়ছে। আর কৃষকেরাও মসলা চাষ করে ভালো দাম পাচ্ছেন। আবার মসলার নানা বৈচিত্র্যও এসেছে। সব মিলিয়ে মসলা চাষ বাড়তে থাকায় কৃষক যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি ভোক্তারা নানা ধরনের মসলা পাচ্ছেন। এই কারণে দেশে মসলাজাতীয় ফসলের উৎপাদন বেড়েছে।

আমরা ব্র্যান্ডের মানসম্মত মসলা বাজারে দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে মসলার আলাদা ধরন ছাড়াও আমরা বাজারে মিশ্র মসলা সরবরাহ করছি। বিরিয়ানি ও মাংসের এসব মিশ্র মসলার বেশ চাহিদা রয়েছে বাজারে। এ ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা মসলা ক্রয় করতে হচ্ছে না ক্রেতাদের। প্রতিবছর এ বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। বছর বছর রপ্তানিও বাড়ছে। কিছু সমস্যার সমাধান করা গেলে মসলা রপ্তানি কয়েক গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। যেমন কীটনাশকের ব্যবহার কমানো কিংবা রেডিয়েশন সুবিধা বৃদ্ধি করা।

তবে জিরার মতো কিছু মসলা আমাদের আমদানি করতে হয়। কারণ, জিরা আমাদের দেশে উৎপাদন করা যায় না। তাই কিছু মসলা আমদানির প্রয়োজন হয়তো থাকবে। আবার জমি হ্রাস পেলেও মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির পেছনে আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মীদের সহযোগিতা রয়েছে। তাঁরা অসাধারণ কাজ করছেন, তাই উৎপাদনশীলতা বাড়ছে। আমরা ৪০টি দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি করি থাকি। পাবনায় আমরা আমাদের কারখানায় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াচ্ছি। মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের মসলার প্রধান গ্রাহক। আর যেকোনো উৎসবের আমেজে মসলা বিক্রি বেশি হয়।

মো. পারভেজ সাইফুল ইসলাম, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ