ট্রাম্পের নৈশভোজের আমন্ত্রণ কি গ্রহণ করলেন ইলন মাস্ক
Published: 18th, November 2025 GMT
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্মানে আজ মঙ্গলবার এক নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নৈশভোজে টেসলার সিইও ও ট্রাম্পের একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইলন মাস্ক অংশ নিতে পারেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পাঞ্চবোল নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে সৌদি যুবরাজের। জ্বালানি তেল ও নিরাপত্তা খাতে দুই দেশের বহু দশকের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সাংবাদিক এবং সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটাই যুবরাজ সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।
পাঞ্চবোল নিউজের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট জানিয়েছে, ওই নৈশভোজে বিখ্যাত গলফার টাইগার উডসও অংশ নিতে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুনট্রাম্পের সঙ্গে কোন বিরোধের কারণে প্রশাসন থেকে সরে গেলেন ইলন মাস্ক৩০ মে ২০২৫আরও পড়ুনএবার প্রকাশ্যে বিবাদে জড়ালেন ট্রাম্প ও মাস্ক০৬ জুন ২০২৫তবে ইলন মাস্ক নৈশভোজের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে একসময় বেশ ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ২০২৪ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করেছিলেন মাস্ক। নির্বাচনের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধানের দায়িত্বও পান।
তবে গত জুনে ট্রাম্প প্রশাসনের কর ও ব্যয় বিলকে কেন্দ্র করে দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ডিওজিইর প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে নানা তির্যক মন্তব্য করেন।
সে সময় ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মাস্ক। তাঁর ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, ইলনের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। জানি না সেটা আর থাকবে কি না।’
আরও পড়ুনট্রাম্প ও মাস্কের মধুর সম্পর্কে বিচ্ছেদ কেন, কী হবে এবার ০৬ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক
এছাড়াও পড়ুন:
হোয়াটসঅ্যাপ আসার আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য অ্যাপ বানিয়েছিলাম
তখন হোয়াটসঅ্যাপ ছিল না। বাইরে থেকে বাংলাদেশে টেলিফোন করাটা ছিল এক বিরাট ঝক্কি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায়ই সময়ে অসময়ে আমাকে বাংলাদেশে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে হতো। টেলিফোন করার দু-একটা অ্যাপ আমার আইফোনে ছিল, কিন্তু সেগুলো ছিল খুব বাজে।
হঠাৎ লাইন কেটে যেত, ক্রেডিট কার্ড থেকে বেশি পয়সা কেটে নিতো। একসময় মনে হলো নিজেই একটা টেলিফোন অ্যাপ বানাই না কেন। যেহেতু আইফোন ব্যবহার করি, তাই নিয়েই শুরু করলাম।
কিছুদিন পড়াশোনা করে বুঝলাম, কাজটা সহজ নয়। আর বেশ সময়সাপেক্ষ। ভয়েসওভার টেলিফোন (ভিওআইপি) অ্যাপ্লিকেশন এমনিতেই বেশ জটিল ধরনের অ্যাপ। আর আমরা যেসব প্ল্যাটফর্মে কাজ করি, সেগুলো কতগুলো নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড ও প্রচলিত প্রটোকল মেনে চলে।
কিন্তু স্টিভ জব আপেলের জন্য সবকিছু নিজস্ব ধারায় করে গেছেন। আপেল তাদের প্ল্যাটফর্মে সব কিছুতে এখনো নিজেদের তৈরি কাস্টম মেনে চলে। তবু কাজ শুরু করলাম, দেখা যাক কতটুকু যাওয়া যায়!
অ্যাপের নাম দিলাম ‘কলকরো’প্রথমে স্ক্রিনের কাজ, যেমন ডায়াল প্যাড ও বিভিন্ন আইকন। যুক্তরাষ্ট্রে এসব গ্রাফিকসের কাজ খুব ব্যয়বহুল। ঠিক করলাম, বাইরের ফ্রিলান্সার দিয়ে করাব। ইন্টারনেটে ফ্রিলান্সারদের ভালো কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে। আমার পছন্দ ‘আপওয়ার্ক’। কী কী লাগবে তার বিবরণ দিয়ে একটা ‘প্রয়োজন’ পোস্ট করলাম।
দুই দিনের মধ্যেই সারা দুনিয়ার গ্রাফিকস ডিজাইনার হাজির! দুজনকে বাছাই করে কয়েক দিন ধরে তাঁদের সঙ্গে আমার প্রয়োজন ও অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে কথা বললাম। দুজনের মধ্যে ইউক্রেনের ডিজাইনার ছিলেন ব্যয়বহুল।
তাঁকে বাদ দিয়ে ভারতীয় একজন ডিজাইনারকে নিয়োগ দিলাম। এখানে বলে রাখি, ফ্রিলান্সারের পারিশ্রমিক ও টাকাকড়ির লেনদেন সব আপওয়ার্ক ব্যবহার করে করা হয় এবং একটা অংশ তারা কমিশন হিসেবে কেটে নেয়।
গ্রাফিকস ডিজাইন এমন কাজ যে একবারে তৃপ্ত হওয়া যায় না, বারবার আরও ভালো করার চেষ্টা চলতে থাকে। একসময় ডিজাইন শেষ হলো। স্ক্রিন লে–আউট ডিজাইনও বেশ কষ্টসাধ্য। পরের ধাপগুলো ছিল রুটিন—আপেল এপিআই ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসগুলো তৈরি করে ব্যবহারকারী ও ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি।
অ্যাপস্টোরে ‘কলকরো’ অ্যাপ