অনেকে প্রতিদিন একবার করে ভাবেন, আগামীকাল থেকে ব্যায়াম শুরু করব। কিন্তু সেই আগামীকাল আর আসে না। এই আজ-কাল করতে করতে কখনোই আর ব্যায়াম শুরু করা হয় না। তবে এমন কিছু ব্যায়াম আছে, যেসবের চর্চা করে কম সময়েই অনেক ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব। এসব ব্যায়ামকে বলা হয়, এইচআইআইটি (হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং)। চলুন জেনে নিই, দ্রুত ক্যালরি পোড়াতে পারে—এমন ৯টি এইচআইআইটি ব্যায়াম সম্পর্কে।


জাম্পিং জ্যাকস  
জাম্পিং জ্যাকস খুবই সহজ কার্ডিও ব্যায়াম, যা শরীর গরম করার পাশাপাশি দ্রুত ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। এটি প্রতি মিনিটে ৮ থেকে ১১ দশমিক ৮ ক্যালরি পোড়ায়। হাত-পা একসঙ্গে ছড়িয়ে লাফানোর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন পেশি কাজ করে। ব্যায়াম করার শুরুতে ওয়ার্মআপ হিসেবে জাম্পিং জ্যাকস করা যেতে পারে।


হাই নি রানিং
হাই নি রানিং মূলত দ্রুতগতির কার্ডিও ব্যায়াম। এ ব্যায়াম করার জন্য দৌড়ানোর সময় হাঁটু যত দূর সম্ভব উঁচু করে দৌড়াতে হয়। এভাবে দৌড়ানোর ফলে প্রতি মিনিটে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৭ ক্যালরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব। এটি পায়ের পেশি ও কোমরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বাড়ির সামনে অল্প জায়গাতেই ব্যায়ামটি করা সম্ভব।

বাট কিকস
বাট কিকসও একধরনের দ্রুতগতির ব্যায়াম। এই ব্যায়াম করার সময় দৌড়ানোর মতো করে এক পা এমনভাবে পেছনে তোলা হয়, যেন পায়ের গোড়ালি শরীরের পশ্চাৎভাগে আঘাত করছে। এই ব্যায়ামে মিনিটে ৮ থেকে ১২ ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব। এটি মূলত হাঁটু ও উরুর পেছনের পেশি শক্তিশালী করে। একটানা ৩০ মিনিট ব্যায়ামটি করলে দ্রুত ক্যালরি পড়ানো সম্ভব।

দড়িলাফে দ্রুত ওজন কমে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য য় ম কর ম কর র

এছাড়াও পড়ুন:

মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

পাবনায় মোবাইল ফোন চুরি করার সন্দেহে রাসেল হোসেন (৩১) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার মামাত ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

শনিবার (১৪ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার জাফরাবাদ এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহত রাসেল হোসেন জাফরাবাদ এলাকার নজির উদ্দিনের ছেলে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত

দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৪ জুন) রাতে রাসেলের মামাত ভাই জাফরাবাদ এলাকার মকবুল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়। মোবাইল চুরির ঘটনায় রাসেলকে সন্দেহ করে একই এলাকার তানজিল হোসেন নামে এক যুবক রাসেলকে মোবাইল ফোন সেটটি ফেরত দিতে বলেন। এতে রাসেল চুরির কথা অস্বীকার করে ক্ষুব্ধ হয়ে তানজিলকে মারধর করেন। এরই জের ধরে তানজিলের স্বজন ও মকবুলের সহযোগীরা রাসেলদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রাসেলের মৃত্যু হয়।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিহত রাসেলের বোন অঞ্জনা খাতুন বলেন,  ‘‘তাদের এলাকার সাইফুলের পরিত্যক্ত সেমাই কারখানার কলা গাছ থেকে কলা কাটাকে কেন্দ্র করে মামাত ভাই মকবুলদের সঙ্গে রাসেলের বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’ 

এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজন মহিলাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওসি। 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ