নিয়ন্ত্রণরেখায় আবার গোলাগুলি, বিনা উসকানিতে গুলির জন্য ভারত-পাকিস্তান একে অন্যকে দুষছে
Published: 5th, May 2025 GMT
কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে দুই দেশই নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর একে অপরের বিরুদ্ধে বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতেও দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, দেশটির বিভিন্ন সেনাচৌকি লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এর উপযুক্ত জবাব দিয়েছে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
পাকিস্তানি সূত্র আরও জানায়, নিয়ন্ত্রণরেখার পার্নিকিয়াল, খই রাট্টা, শারদা, খেল, নীলম ও হাজি পীর সেক্টরে ভারতীয় সেনারা কোনো রকম উসকানি ছাড়াই গুলি চালিয়েছে।
অন্যদিকে আজ সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একাধিক স্থানে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
দ্য হিন্দুর এক খবরে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পর সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। মস্কোয় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সহায়তা চেয়েছেন। গত শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণার আলোকে দ্বিপক্ষীয় উপায়ে বিরোধ নিরসনের আহ্বান জানান। তিনি পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। এ সময় ইসহাক দার ভারতের ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ ও উসকানিমূলক বক্তব্য’ প্রত্যাখ্যান করেন।
ভারত অভিযোগ করেছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টানা ১১ দিনের মতো পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ করেছে। ৪ ও ৫ মে গভীর রাতে কুপওয়ারা, বারমুল্লা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নওশেরা, সুন্দারবনি এবং অখনুর এলাকার বিপরীত পাশে পাকিস্তানি সেনাচৌকি থেকে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, তারা সঙ্গে সঙ্গেই ওই গুলির জবাব দিয়েছে।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে নয়াদিল্লি। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে আসছে পাকিস্তান। ওই হামলার পর থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চার শতাধিক প্রোগ্রামার নিয়ে রাজধানীতে ‘হিরোইউনিয়ন’
সারাদেশের চার শতাধিক প্রোগ্রামারকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী মিললমেলা। শুক্রবার রাজধানীর আইডিইবি অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ‘হিরোইউনিয়ন’ শীর্ষক এ আয়োজনে সারাদেশের উদীয়মান প্রোগ্রামিং প্রফেশনালসরা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এডটেক প্রতিষ্ঠান ‘প্রোগ্রামিং হিরো’।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রোগ্রামার ও প্রোগ্রামিং হিরো–এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) ঝংকার মাহবুব। আরও উপস্থিত ছিলেন সফটওয়্যার কোম্পানি ব্রেইন স্টেশন ২৩–এর সিইও রাইসুল কবির, ব্র্যাক আইটিস-এর সিনিয়র টেকনোলজি অ্যাডভাইজার শাহ আলি নেওয়াজ তপুসহ অন্যান্য প্রযুক্তিবিদ ও ইন্ডাস্ট্রি লিডাররা।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঝংকার মাহবুব বলেন, সামনে যতই এআই টুল আসুক না কেন, আমাদের সেটিকে কাজে লাগিয়ে নিজের কোডিং স্কিল ও প্রোডাক্টিভিটি বাড়িয়ে নিতে হবে। লিংকডইনের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে— গিটহাব কো-পাইলটের মতো এআই টুল ব্যবহার করলে একজন প্রোগ্রামারের কোড লেখার গতি গড়ে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। তবে কোড লেখা যত সহজই হোক না কেন, ফিচার টেস্টিং, বাগ ফিক্সিংয়ের জন্য দক্ষ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন থেকেই যাবে। তাই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে, এআইকে সহযোগী করে, নিজেদের দক্ষতা অব্যাহতভাবে বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ইন্টারঅ্যাক্টিভ লার্নিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘প্রোগ্রামিং হিরো’র যাত্রা শুরু হয়। এতে মজার ছলে প্রোগ্রামিং শেখার সুযোগ পেত শিক্ষার্থীরা। পরে এডটেক ইন্ডাস্ট্রির প্রচলিত কাঠামো থেকে বের হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডেড লার্নিং এনভায়রনমেন্ট গড়ে তোলে প্রতিষ্ঠানটি; যেখানে একজন শিক্ষার্থী শূন্য থেকে শুরু করে জব–রেডি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠার জন্য ধারাবাহিকভাবে উন্নত ট্রেনিং পেয়ে থাকে। গত পাঁচ বছরে প্রোগ্রামিং হিরো ইতিমধ্যে ৬০টিরও বেশি দেশে ২ হাজার ২৬০ কোম্পানিতে ৪ হাজার ৭০০ জনের শিক্ষার্থীকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।