পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
Published: 5th, May 2025 GMT
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, টেলিফোন আলাপে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের অপ্রমাণিত অভিযোগ এবং সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতসহ একতরফাভাবে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে সৃষ্ট আঞ্চলিক উত্তেজনার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সব পক্ষের সংযত থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। একই সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে জোর দিয়েছেন তিনি।
উভয় পক্ষ পাকিস্তান–বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে দুই দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। নিয়মিত দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তাঁরা। আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ নিয়েও আলোচনা করেছেন তাঁরা।
গত বছর ৫ আগস্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন গতি পেয়েছে। গত মাসে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ ঢাকা সফর করেন। সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছিল। ২৭ এপ্রিল তাঁর ঢাকায় আসার কথা ছিল।
কিন্তু ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর দুই দিন পর ইসহাক দারের ঢাকা সফর স্থগিতের কথা জানিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বার্তায় বলা হয়, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৭-২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করতে পারছেন না। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সফরের নতুন তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন র পরর ষ ট র পরর ষ ট র উপদ ষ ট পরর ষ ট রমন ত র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সাবেক সংসদ সদস্যদের ৩০টি গাড়ি সরকারকে দিচ্ছে এনবিআর
শেখ হাসিনা সরকারের শেষ মেয়াদে দ্বাদশ সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করা ৩০টি গাড়ি সরকারকে দেওয়া হচ্ছে। নিলামে ভালো দর না পাওয়ায় এসব গাড়ি এখন সরকারকে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর মিলনায়তনে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এসব গাড়ি (সাবেক এমপিদের আনা গাড়ি) সরকারকে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকার এগুলো ব্যবহার করবে। এসব গাড়ি জনপ্রশাসনের পরিবহন পুলে যাবে। সেখান থেকে সরকারের যারা ব্যবহার করার, সেখানে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, এগুলো যখন নিলাম করলাম, খুবই অল্প দাম পেয়েছি। এখন নিলামের টাকাটা সরকারি কোষাগারে আসবে। আবার সরকারকেই এসব গাড়ি অনেক দাম দিয়ে কিনতে হবে। তাই জাতীয় স্বার্থ চিন্তা করে ৩০টি গাড়ি সরকারের পরিবহন পুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এই গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা। সরকারের পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে এনবিআর। তাতে এই গাড়িগুলো বন্দর থেকে আর ছাড় করেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা।
সাবেক সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৫১টি গাড়ি আমদানি করেছিলেন। এর মধ্যে সাতটি গাড়ি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে–পরে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। বাকি গাড়িগুলোর মধ্যে ২৪টি গাড়ি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সেই নিলামে অংশ নিয়ে আগ্রহীরা গাড়িভেদে সর্বোচ্চ ১ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর দিয়েছেন এসব গাড়ির জন্য। ১০টি গাড়ির জন্য কোনো দরই জমা পড়েনি। অথচ প্রতিটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ফলে নিলামে যে দর উঠেছে, তাতে কোনো গাড়ি বিক্রি হয়নি। এখন সেগুলো সরকারের মালিকানায় যাচ্ছে।