নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রধানের সহযোগিতা কামনা করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল। 

মঙ্গলবার (৬ মে) জাইকার প্রধান প্রতিনিধি (বাংলাদেশ অফিস) ইচিগুচি তোমোহিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উভয়ের মাঝে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে উপাচার্য নোবিপ্রবির শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পানির লবণাক্ততা দূরীকরণে জাইকা প্রধানের সহযোগিতা কামনা করেন।

আরো পড়ুন:

নোবিপ্রবিতে ভবন নির্মাণে অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা

নোবিপ্রবিতে ৪ বছরে স্নাতকে ভর্তি হয়েছেন ৫৭৩৪ শিক্ষার্থী

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল জাইকা প্রধানকে নোবিপ্রবি পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।

জাইকা প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বে নোবিপ্রবি উপাচার্য ঢাবি নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত ফিফথ জাইকা লেকচার ‘দ্যা হিস্ট্রি অ্যান্ড ফিউচার অব নার্সিং ইন জাপান অ্যান্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব উপ চ র য সহয গ ত

এছাড়াও পড়ুন:

আফসোসে রেখে গল টেস্ট ড্র

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাজমুল হোসেন শান্তকে তুলাধুনা করা হচ্ছিল গল টেস্ট ড্র মেনে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই। সমর্থকদের কাছে মনে হয়েছে, পঞ্চম দিন সকালে শান্ত মন্থর ব্যাটিং করায় আগেভাগে ইনিংস ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে তিনি ম্যাচ জয়ের চিন্তা না করে রক্ষণাত্মক কৌশল নেন নিরাপদ ড্রয়ের লক্ষ্যে। এটিও বলা হয়েছে, অধিনায়কের উদ্দেশ্য ছিল সেঞ্চুরি করা। প্রত্যাশা পূরণ না হলে সমর্থকরা কখনও কখনও হয়ে ওঠেন সমালোচক। গল টেস্ট ড্র করা নিয়ে তাদের সেই আক্ষেপ। অনেক যদি, কিন্তু মেলানো গেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট ম্যাচটি হয়তো শেষ দুই সেশনে জয়ের জন্য খেলা সম্ভব হতো। শান্তরা সেই যদি, কিন্তু মেলাতে পারেননি মূলত পঞ্চম দিন সকালে এক ঘণ্টা ব্যাটিং করার পর বৃষ্টির কারণে তিন ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকায়। সকালের বৃষ্টিই বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন থেকে ছিটকে দেয়। জয়ের সমীকরণ না মেলার আক্ষেপ থাকলেও ড্র টেস্টও প্রাপ্তিতে ভরপুর। শান্তর জোড়া সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি, নাঈম হাসানের পাঁচ উইকেট অর্জনে গল থেকে আত্মবিশ্বাসের বাতাসে ফুসফুস ভরে নেওয়া গেছে কলম্বোর সিরিজ নির্ধারণী টেস্টের জন্য। ২৫ জুন সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। 

স্কিল, ফিটনেসের সঙ্গে সাহস দেখাতে পারাও ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে সাহসী লোকের ভীষণ অভাব এ মুহূর্তে। টি২০ বিশ্বকাপ থেকেই এই দুর্বলতা বড় হয়ে ধরা দিচ্ছে। সেমিফাইনালের সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঝুঁকি নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতো তুখোড় বুদ্ধিমান কোচও। গল টেস্টে ফিল সিমন্স, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ড্রেসিংরুমে থেকে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে ইনিংস ঘোষণা করার বার্তা দেওয়ার সাহস করেননি; বরং টেস্ট ম্যাচটি ড্র করার পরিকল্পনায় শান্তকে মন্থর ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করার সুযোগ করে দেন তারা। অথচ অধিনায়ক সেঞ্চুরি না করে লিড দেড়শ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে জয়ের লক্ষ্যে বোলিং করতে পারতেন। আক্রমণাত্মক মেজাজে বোলিং-ফিল্ডিং করে গেলে ম্যাচের শেষটা উত্তাপ ছড়ানো রোমাঞ্চকর হতে পারত। এই জায়গাতেই মুনশিয়ানার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। 

১০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন শেষ করে ৫৭ ওভার খেলে ৩ উইকেটে ১৭৭ রানে। ১৮৭ রানের লিড নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিন ব্যাট করতে নামেন অপরাজিত জুটি মুশফিক-শান্ত। প্রথম থেকে মন্থর ব্যাটিং করতে থাকেন দু’জন। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১৯ ওভারে ৬০ রান যোগ করেন তারা। বৃষ্টির কারণে বেলা ১১টা ৬ মিনিটে খেলা হওয়া ম্যাচ তিন ঘণ্টা পর আবার শুরু হয় দুপুর ২টা ৮ মিনিটে। শান্তরা ১১ ওভার না খেলে চাইলে দুই ওভার পরই ইনিংস ঘোষণা করতে পারতেন। তখনও ২৫৫ রানের লক্ষ্য দেওয়া যেত শ্রীলঙ্কাকে। এ ক্ষেত্রে শান্তর সেঞ্চুরি মিস হলেও বোলাররা জয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারতেন। সেটি না করে বৃষ্টির পর ১১ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ২৮৫ রানে পৌঁছে ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি। শান্তর সেঞ্চুরি করতে লেগেছে ১৯০টি বল। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে।

টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডবুকে নতুন করে নাম তোলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দেশের পর বিদেশেও এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরিয়ান তিনি। শান্ত প্রথম জোড়া সেঞ্চুরি করেন ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে। বিদেশের মাটিতে এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি তিনি। টেস্ট ম্যাচে দুবার জোড়া সেঞ্চুরি করা দেশের একমাত্র ব্যাটার হলেন শান্ত। তবে দেশের প্রথম জোড়া সেঞ্চুরিয়ান হলেন মুমিনুল হক। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ইনিংসে শতক পেয়েছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটার। গল টেস্টের সেরা খেলোয়াড় শান্ত জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৪৮ রান করেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য এটি রেকর্ড। ২০১৩ সালে এই গলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুশফিকের ২০০ রানই ছিল অধিনায়ক হিসেবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এদিক থেকে গল টেস্টকে শান্তর টেস্টও বলা যেতে পারে। অধিনায়কের প্রাপ্তির টেস্টে বাংলাদেশের অর্জন ৪ পয়েন্ট। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের মতো চতুর্থ আসরও পয়েন্ট অর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু করা গেছে। এই প্রাপ্তি দেশের ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ