ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানের জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হাসপাতালসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ আজ বুধবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মরিয়ম বলেন, ‘সব চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষাকর্মীদের নিজ নিজ দায়িত্বে ফেরত আসতে বলা হচ্ছে।’

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। ইসলামাবাদ বলছে, এসব হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও অর্ধশত আহত হয়েছেন। এর জবাবে রাতেই নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।

ভারতের হামলার নিন্দা জানিয়ে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, ‘জনগণ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত হয়তো এটা (হামলা) শুরু করেছে, কিন্তু আমরা এটা শেষ করব।’

আরও পড়ুনপাকিস্তানের ৬ স্থানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশ ও স্থলে জবাব ইসলামাবাদের১ ঘণ্টা আগে

চলমান পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী জনগণকে ঘরের ভেতর অবস্থান করার ও অকারণে ভ্রমণ না করতে বলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জনগণকে তথ্যের জন্য শুধু আনুষ্ঠানিক ও নির্ভরযোগ্য উৎসের ওপর ভরসা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। হতাহতের কোনো খবর পেলে কাছের হাসপাতাল অথবা উদ্ধার পরিষেবা সংস্থায় জানাতে বলেছেন তিনি।

পাকিস্তান শান্তি চায় জানিয়ে মরিয়ম বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, তবে সেটা সম্মানের সঙ্গে। যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে পুরো দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি শক্তিতে পরিণত হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ঘোষিত সময়ে জুলাই সনদ দিতে সরকারকে আহ্বান

জুলাই সনদ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাত্র ৩ কার্যদিবস আগেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জুলাই যোদ্ধা সংসদ। তারা সরকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, সরকার প্রতিশ্রুতি পালন না করলে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন তারা।

রোববার রাজধানীর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এসব কথা জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জুলাই যোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আরমান হোসেন শাফিন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মুখপাত্র মুশফিকুর রহমান আশিকসহ অন্যান্য নেতারা। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে সরকার যে ৩০ কার্যদিবসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল, তা শেষ হতে আর মাত্র ৩ দিন বাকি। অথচ এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল– জুলাই মাসের মধ্যেই এই সনদ ঘোষণা করা হবে। তারা সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখে নিজেদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিতও করেন। কিন্তু বারবার সময়ক্ষেপণ ও অজানা অনিশ্চয়তা তাদের শঙ্কিত করে তুলছে।

সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, দ্রুততম সময়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ ও ঘোষণার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যেন ‘জুলাই সনদ’ দেওয়া নিশ্চিত হয়। সরকার যেন বিষয়গুলো যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। 

সংগঠনের আহ্বায়ক আরমান হোসেন শাফিন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দেরি বা জটিলতা সৃষ্টি হয়, তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আরও কার্যকর কর্মসূচি দিতে প্রস্তুত আছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরানের জনগণকে সাহায্য করতে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন
  • ঘোষিত সময়ে জুলাই সনদ দিতে সরকারকে আহ্বান