রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে ড্রেজিং কাজের জন্য কর্ণফুলী নদীতে ৫ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সড়ক ও জনপথ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফেরি পারাপারের সুবিধার্থে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে ড্রেজিং কাজের জন্য মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোর ৬টা থেকে থেকে রবিবার (১৮ মে) ভোর ৫টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। ওই দিন সকাল ৬টা থেকে পুনরায় ফেরি চলাচল করবে।

সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে যাতায়াতে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে যেতে হয়। নদীর নাব্যতা সংকটে প্রায়ই ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসহ যানবাহনের চালকরা। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।

ঢাকা/শংকর/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১১ বছর পর মানিব্যাগ পাওয়া গেল বহুদূরে মিনেসোটায়

যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত গাড়ি নির্মাতা শ্রমিক রিচার্ড গিলফোর্ড এক মধ্যরাতে ফেসবুকে অচেনা এক ব্যক্তির খুদে বার্তা পেয়ে অবাক হয়ে যান। বার্তায় লেখা ছিল, ‘আপনি কি কয়েক বছর আগে আপনার মানিব্যাগ হারিয়েছেন? এটি একটি গাড়ির ইঞ্জিনে ছিল।’

রিচার্ডের কাছে এই খবর একেবারেই অবিশ্বাস্য ছিল। কারণ, প্রায় ১১ বছর আগে মিশিগানে মানিব্যাগটি হারিয়েছিলেন তিনি। এত বছর পর সেটি উদ্ধার হলো মিনিসোটার লেক ক্রিস্টালের একটি গাড়ি মেরামতের দোকানে। গত জুন মাসে গাড়ি মেরামতকারী চ্যাড ভল্ক এটি খুঁজে পেয়ে রিচার্ডকে ফেসবুকে বার্তা পাঠান।

মানিব্যাগটিতে ছিল ১৫ ডলার, ড্রাইভার লাইসেন্স, কর্মপরিচয়পত্র, ২৭৫ ডলারের গিফট কার্ড এবং একটি লটারি টিকিট।

বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ডের একটি কারখানায় কাজ করতেন রিচার্ড। ২০১৪ সালে বড়দিনে ওই কারখানায় কাজ করার সময় তাঁর মানিব্যাগটি শার্টের পকেট থেকে পড়ে যায়। সে সময় তিনি কারখানায় থাকা ৩০ থেকে ৪০টি গাড়িতে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মানিব্যাগটি পাননি। পরে হাল ছেড়ে দেন।

এখন রিচার্ড গিলফোর্ডের বয়স ৫৬ বছর। ৩৫ বছরের কর্মজীবন শেষে ২০২৪ সালে তিনি অবসর নেন। মানিব্যাগটির কথা তিনি অনেক বছর আগেই ভুলে গিয়েছিলেন। চ্যাড ভল্কের বার্তা পাওয়ার পর সেটির কথা আবার মনে পড়ে তাঁর। চ্যাড তাঁকে মানিব্যাগ এবং রিচার্ডের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাঠান। ওই লাইসেন্সে নিজের কম বয়সের ছবি দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন রিচার্ড।

চ্যাড ভল্ক জানান, ২০১৫ সালের ফোর্ড এজ সিরিজের একটি গাড়ির ইঞ্জিন বে-তে ট্রান্সমিশন ও এয়ার ফিল্টার বক্সের মধ্যে আটকে থাকা অবস্থায় মানিব্যাগটি খুঁজে পান তিনি। তখন পর্যন্ত গাড়িটি ১ লাখ ৫১ হাজার মাইল চলেছে। চ্যাড বলেন, ‘গাড়িটি মেরামতের পর ফিল্টার বক্স ঠিকমতো বসছিল না। পরে আমি দেখতে পাই, সেখানে একটি মানিব্যাগ পড়ে আছে।

রিচার্ড বলেন, ‘এত বছর ধরে মানিব্যাগটি ঠিক আছে। এটি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। তিনি আরও বলেন, মানিব্যাগে যা যা ছিল, সবকিছু সেভাবেই রেখে দেব। এটি আমাদের ঘরের ক্যাবিনেটে সংরক্ষণ করে রাখা হবে। আমার সন্তানেরা ভবিষ্যতে এটির গল্প তাদের সন্তানদের বলবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ