তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার সাক্ষাৎ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের আর্থসামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

আরো পড়ুন:

অনলাইন পত্রিকাসহ সবার জন্যই বেতন কাঠামো দিয়ে যেতে চাই: তথ্য উপদেষ্টা

টিভি চ্যানেলগুলোর আচরণবিধি প্রকাশ করার আহ্বান তথ্য উপদেষ্টার

সাক্ষাৎকালে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বার্তা সংস্থার মধ্যে ইতোমধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশে টেলিভিশন সম্প্রচার ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশনের কাজ চলছে।

দুই দেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদার করতে উপদেষ্টা আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের হাইকমিশনারও এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, “আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ যে দলকে নির্বাচিত করবে, পাকিস্তান সরকার সেই দলকে সম্মান জানাবে।”

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের অনেক গবেষক ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের প্রতিদিনের আর্থসামাজিক ঘটনাবলি নিয়ে গবেষণা করতে চান। গবেষণার জন্য পাকিস্তানের আর্কাইভে সংরক্ষিত এ-সংক্রান্ত ডকুমেন্ট (প্রমাণক) সংগ্রহ করা প্রয়োজন।” এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য তিনি পাকিস্তানের হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফসিহ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পুলিশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পুলিশ একাডেমির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈঠকে দুই দেশের পুলিশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সক্ষমতা বাড়ানো, অপরাধী হস্তান্তর, সেফ সিটি নির্মাণসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি পাকিস্তান সফর করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। সিনিয়র সচিব পা‍কিস্তানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে তাদের “সেফ সিটি” প্রকল্প আমাদের দেশেও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

দুই দেশের পুলিশ একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে একটি সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দুই দেশের অপরাধীদের পারস্পরিক বিনিময় বা হস্তান্তরে বর্তমানে কোনো আইনি কাঠামো নেই। ২০০৪ সালে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা কার্যকর করা হয়নি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য পুনরায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

হাইকমিশনার এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের জন্য সাঁজোয়া নিরাপত্তা যানবাহন, ড্রোন সংগ্রহ ও ক্রয় এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণে পাকিস্তান সহযোগিতা করতে আগ্রহী বলে জানান।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) খন্দকার মো. মাহবুবুর রহমান, পাকিস্তান দূতাবাসের কাউন্সেলর কামরান দাঙ্গাল উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ