অতীতের সব ভুলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান এখন ভাই ভাই: পাকিস্তানি রাজনীতিক ফজলুর রহমান
Published: 18th, November 2025 GMT
অতীতের সবকিছু ভুলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এখন দুটি ভাতৃপ্রতিম দেশ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (এফ) সভাপতি ও দেশটির সাবেক মন্ত্রী মাওলানা ফজলুর রহমান। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সব সময় বাংলাদেশের কল্যাণ, উন্নতি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে। বাংলাদেশকে তাঁরা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে মনে করে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ভাই ভাই, অতীতের সবকিছু তারা ভুলে গেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মাওলানা ফজলুর রহমান।
পাকিস্তানের এই রাজনীতিক বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, কিন্তু বিশ্বজুড়ে আমেরিকা অশান্তি ছড়াচ্ছে। মুসলমানরা শান্তিতে বিশ্বাসী হলেও আজ ফিলিস্তিনে মুসলমানদের রক্ত ঝরছে, চেচনিয়াতেও এর আগেও রক্ত ঝরেছে। মুসলমানদের পারস্পরিক অনৈক্যের কারণেই অন্যরা হামলার সুযোগ পাচ্ছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তান সব সময় দলমত–নির্বিশেষে মুসলিম ও অমুসলিম সবার অধিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মাওলানা ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, অমুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে ফরজ মনে করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।
সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের মহাসচিব মাওলানা আবদুল গফুর হায়দারী ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেপালের সহসভাপতি মাওলানা শফিকুর রহমান কাসেমী।
সুধী সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক কাসেমী। তিনি বলেন, অন্যকে অমুসলিম ঘোষণার দাবির জন্য সংসদে আইনের পরিবর্তে অনেকে রক্ত দেওয়ার কথা বলেন। মাইকের সামনে গায়ের জোরে আইনবিরোধী কথাবার্তা বলেন। দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশ্য উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘আমাদের সবার রুচির মধ্যে সংশোধনী আনতে হবে। গায়ের বল আর টক্কর বাজানো বিভিন্ন ধরনের কথায় অনেকেই মাইক ফাটিয়ে ফেলছে। উলামায়ে কেরামের এ ধরনের মেজাজ হওয়া উচিত নয়।’
সুধী সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি প্রধান অতিথির উর্দুতে দেওয়া বক্তব্যের সারাংশ তুলে ধরেন।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফজল র রহম ন উল ম য় উল ম য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরা ১৮ কোটি মানুষকে খুশি করেছি’—ভারতকে হারিয়ে হামজা
এমন রাত আবার কবে আসবে! ২২ বছর নাকি ২ বছর পর? উত্তরটা এখন অনায়াসে দেওয়া যায়। না, আর ২২ বছর অপেক্ষা নয়, ২ বছর পরই হতে পারে আরেকটি জয়। কারণ, এই বাংলাদেশ জিততে শিখে গেছে। এই বাংলাদেশের আছে একজন হামজা চৌধুরীর মতো যোদ্ধা। মঙ্গলবার যেমন ভারতের বিপক্ষে দারুণ এক ফুটবলযুদ্ধ জিতেছে বাংলাদেশ। যার আনন্দ ছুঁয়ে গেছে গোটা বাংলাদেশে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেশের ১৮ কোটি মানুষকে খুশি করতে পেরে উচ্ছ্বসিত হামজাও।
লেস্টার সিটিতে খেলা এই মিডফিল্ডার ভারতকে হারানোর আনন্দে খুঁজে পেয়েছেন এফএ কাপ জয়ের তৃপ্তি। ২০২০-২১ মৌসুমে ইংলিশ ক্লাব লেস্টারের হয়ে এফএ কাপ জিতেছিলেন হামজা। গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সি প্রথম গায়ে জড়ান তিনি। এরপর আজ পর্যন্ত এশিয়ান বাছাইয়ে পঞ্চম ম্যাচ খেলেছেন। আগের চার ম্যাচ জিততে জিততেও হয়নি। শেষমেশ আজ এল সেই কাঙ্ক্ষিত জয়।
আজ আমরা ১৮ কোটি মানুষকে খুশি করেছি, তাই এর সঙ্গে অন্য কোথাও কিছুই তুলনা করা যায় না।হামজা চৌধুরী, ফুটবলার, বাংলাদেশম্যাচের পর হামজাকে প্রশ্ন করা হলো এফএ কাপ জয়ের তুলনায় এগিয়ে রাখবেন কি না। হামজা উত্তর দিতে দেরি করেননি, ‘বিভিন্ন কারণে, নিশ্চিতভাবেই। আজ আমরা ১৮ কোটি মানুষকে খুশি করেছি, তাই এর সঙ্গে অন্য কোথাও কিছুই তুলনা করা যায় না।’
জয়ের পর বাংলাদেশের একমাত্র গোলদাতা শেখ মোরছালিনের সঙ্গে হামজা চৌধুরী