ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়াটার্সে বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর, ২০২৫) চন্দ্রাস্থ কালিয়াকৈর, গাজীপুরে অবস্থিত ওয়ালটন হেডকোয়াটার্সে এ বিশেষ বহির্গমন মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে ওয়ালটন হেডকোয়াটার্স এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য বহির্গমন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও প্রয়োগে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেন তারা। জরুরি বহির্গমন মহড়ায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ, আগুন লাগলে ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়।

ওয়ালটন হেডকোয়াটার্সের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, “শীত মৌসুমে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। এই সময়ে ইলেকট্রিক হিটার, অতিরিক্ত লোড, শুকনো আবহাওয়া, দাহ্য পদার্থের দ্রুত দহনসহ নানা কারণে অগ্নি-ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর আগুন নির্বাপন, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এসব দক্ষতা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তাই নয়, প্রতিষ্ঠানকে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করতে সক্ষম।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ শ্রম বিধি অনুযায়ী কর্মরত সকলের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকা অপরিহার্য। ওয়ালটন সবসময়ই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে এবং বর্তমান শীতকালীন অগ্নি-ঝুঁকি বিবেচনায় এই মহড়ার গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সাম্প্রতিক নানান অস্থিতিশীল প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ইএইচএস বিভাগের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো.

মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা অভাব, নির্গমণ পথের স্বল্পতা এবং সর্বোপরি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার অভাব বড় ধরনের ক্ষতির জন্য দায়ী। অসতর্কতা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। তাই প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।”

এছাড়া, মহড়ায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তানভীর আহমেদ ও মোবাইল প্রডাকশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মনির হোসেন গুরত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন। ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। আপদকালীন সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও কোম্পানির সম্পদ রক্ষার জন্য, এই মহড়াটি কয়েকটি কার্যকরি দলে বিভক্ত ছিল। ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়ালটন হাই-টেকে বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া অনুষ্ঠিত

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়াটার্সে বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর, ২০২৫) চন্দ্রাস্থ কালিয়াকৈর, গাজীপুরে অবস্থিত ওয়ালটন হেডকোয়াটার্সে এ বিশেষ বহির্গমন মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে ওয়ালটন হেডকোয়াটার্স এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য বহির্গমন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও প্রয়োগে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেন তারা। জরুরি বহির্গমন মহড়ায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ, আগুন লাগলে ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়।

ওয়ালটন হেডকোয়াটার্সের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, “শীত মৌসুমে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। এই সময়ে ইলেকট্রিক হিটার, অতিরিক্ত লোড, শুকনো আবহাওয়া, দাহ্য পদার্থের দ্রুত দহনসহ নানা কারণে অগ্নি-ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর আগুন নির্বাপন, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এসব দক্ষতা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তাই নয়, প্রতিষ্ঠানকে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করতে সক্ষম।”

তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ শ্রম বিধি অনুযায়ী কর্মরত সকলের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকা অপরিহার্য। ওয়ালটন সবসময়ই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে এবং বর্তমান শীতকালীন অগ্নি-ঝুঁকি বিবেচনায় এই মহড়ার গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সাম্প্রতিক নানান অস্থিতিশীল প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ইএইচএস বিভাগের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা অভাব, নির্গমণ পথের স্বল্পতা এবং সর্বোপরি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার অভাব বড় ধরনের ক্ষতির জন্য দায়ী। অসতর্কতা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। তাই প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।”

এছাড়া, মহড়ায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তানভীর আহমেদ ও মোবাইল প্রডাকশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মনির হোসেন গুরত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন। ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। আপদকালীন সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও কোম্পানির সম্পদ রক্ষার জন্য, এই মহড়াটি কয়েকটি কার্যকরি দলে বিভক্ত ছিল। ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ