এস্তেভাওয়ের পেনাল্টিতে বাঁচল ব্রাজিল
Published: 19th, November 2025 GMT
কার্লো আনচেলত্তির দলের জন্য আশার চেয়ে উদ্বেগই বাড়িয়ে দিল তিউনিসিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ। এস্তেভাওয়ের নেওয়া সফল পেনাল্টি ব্রাজিলকে হার এড়াতে সাহায্য করলেও সার্বিক পারফরম্যান্সে ফুটে উঠেছে বেশ কিছু চিন্তার কারণ।
২০২৬ বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনো সাত মাস বাকি। কিন্তু লিলের ঠান্ডা-বর্ষার রাতে ব্রাজিল যে ফুটবল খেলেছে, তা ব্রাজিলিয়ান দর্শকদের খুব একটা সাহস জোগাবে না। তিউনিসিয়ার সঙ্গে ১-১ ড্রয়ের ম্যাচে শেষ মুহূর্তে লুকাস পাকেতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি মিস করায় জয় হাতছাড়া হয় দক্ষিণ আমেরিকান জায়ান্টদের।
আরো পড়ুন:
কাসেমিরোর গোলে সেনেগালকে হারালো ব্রাজিল
সতীর্থদের অবহেলায় হতভম্ব নেইমার
ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিল ছিল উদাসীন, ভারহীন। আর বিপরীতে তিউনিসিয়া খেলছিল আত্মবিশ্বাসে উজ্জ্বল, গ্যালারির সমর্থনে উচ্ছ্বসিত হয়ে। শুরুতেই ডানপাশের ডিফেন্ডার আবদিনির শটে ব্রাজিল গোলরক্ষক বেন্তোকে প্রথম পরীক্ষায় পড়তে হয়। আবদিনি আর হানিবালের সমন্বয়ে একের পর এক দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক বিপদ তৈরি করছিল ব্রাজিলের রক্ষণভাগে।
বাম ফ্ল্যাঙ্ক দ্রুতই ব্রাজিলের দুর্বলতার জায়গা হয়ে ওঠে। ওয়েসলি বারবার পিছিয়ে পড়ছিলেন আবদিনির কাছে। তার ভুল স্পর্শ থেকে তৈরি হয় গোলের সূত্রপাত। বল দখলে নিয়ে আবদিনি এগিয়ে গিয়ে নিখুঁত পাস বাড়ান। আর মাস্তৌরি ২৩তম মিনিটে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে তিউনিসিয়াকে এগিয়ে দেন।
গোল হজমের পর ব্রাজিল আক্রমণে খুব একটা ধার দেখাতে পারেনি। রদ্রিগো ও এস্তেভাও মাঝে-মধ্যে ঝলক দেখালেও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র যেন পুরো ম্যাচেই ছিলেন প্রায় অদৃশ্য। শৃঙ্খলাবদ্ধ, আক্রমণাত্মক রক্ষণভাগ দিয়ে তিউনিসিয়া দারুণভাবে চেপে ধরে রাখে আনচেলত্তির দলকে।
প্রথমার্ধের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে ভাগ্য ব্রাজিলের দিকে ফিরল। মিলিতাও ও ব্রনের সংঘর্ষে বল ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টি নিশ্চিত হয়। আত্মবিশ্বাসী এস্তেভাওই শটে দায়িত্ব নেন এবং জোরালো শটে ম্যাচে সমতা ফেরান।
হাফটাইমে কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তন করেন আনচেলত্তি- ওয়েসলি ও মাতেউস কুনিয়াকে তুলে এনে নামানো হয় দানিলো ও পালমেইরাসে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভিতোর রোকেকে। বদল আক্রমণে তাত্ক্ষণিক প্রভাব এনে দেয়। ভিনির নড়াচড়া বাড়ে, ব্রাজিলও আক্রমণে কিছুটা ছন্দ খুঁজে পায়। তবে গোলপোস্টের সামনে এসে যথার্থতার ঘাটতি থেকেই যায়।
এর মধ্যেই নতুন দুশ্চিন্তা- মিলিতাও আবারও চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। কিছু পরেই ভিতোর রোকে দুর্দান্ত চালে আরেকটি পেনাল্টি আদায় করেন ব্রাজিলের জন্য। সবাই ভাবছিলেন প্রথম গোলদাতা এস্তেভাওই নেবেন শট। কিন্তু বদলি নেমেই পাকেতা এগিয়ে এসে দায়িত্ব তুলে নেন। আর ৭৮ মিনিটে তার শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
শেষ মুহূর্তে এস্তেভাও আরেকটি পেনাল্টির দাবি করেন, যা রেফারি নাকচ করে দেন। পরে দুর্দান্ত একটি শটে পোস্ট কাঁপিয়ে তিনি প্রায় জয়ের গোলটিই এনে ফেলতে বসেছিলেন। কিন্তু না, হয়নি। তাতে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় ম্যাচ।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ত উন স য় এস ত ভ ও আবদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্যান্টাসি কিংডমে কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব শুরু
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ