মহান বিজয় দিবসে এবারও জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিজয় দিবসের নিরাপত্তা–সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কুচকাওয়াজ হবে না।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছর বিজয় দিবসের দিন কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান হয়নি। এর পরিবর্তে সারা দেশে বিজয় মেলা আয়োজন করা হয়েছিল।

বিজয় দিবসের প্রস্তুতি বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবাই বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করবে। বিজয় দিবসে অস্থিরতার আশঙ্কা নেই। আগে যেমন ছিল এবারও কর্মসূচি থাকবে; বরং আগের চেয়ে কর্মসূচি বেশি হবে। তবে এবারও প্যারেড কর্মসূচি হবে না।

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর দেশে অস্থিরতা বেড়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, রায় ঘোষণার পর অস্থিরতা হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সমাজ পুরুষকে শিখিয়েছে ‘কান্না করা যাবে না’

শুরুতেই হাওয়ার্ড কান্ট্রি জেনারেল হসপিটালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু অ্যাঞ্জেলিনোর মন্তব্য ধরে এগোনো যাক। তিনি বলেছেন, ‘‘নারীরা সাধারণত ডিপ্রেশনে থাকলে কাঁদেন। অন্যদিকে পুরুষরা রাগ করের। কেননা আমরা সমাজ ছেলেদের শিখিয়েছে, কান্না করা যাবে না।’’

এই যে পুরুষ কাঁদতে পারেন না, তাহলে রাগলে তিনি কী করেন? অ্যান্ড্রু বলছেন, ‘‘পুরুষ কাঁদতে পারেন না, তাই কাঁদার বদলে তারা রেগে যান। রাগ প্রকাশে তারা বিভিন্ন আক্রমণাত্মক পদ্ধতিও প্রয়োগ করেন।’’

আরো পড়ুন:

আজ আন্তর্জাতিক ‘পুরুষ দিবস’

হার্মিস: ভাইয়ের গরু চুরি করে বীণা উপহার দিয়েছিলেন

কান্না মানুষের আবেগ প্রকাশের ভাষা। তাহলে পুরুষ কাঁদতে পারবেন না কেন? পরিসংখ্যান দেখা গে‌ছে যে নারীরা প্রতি মাসে পাঁচবার কাঁদেন। আর পুরু‌ষেরা কাঁদের একবার, তাও লুকিয়ে কাঁদেন। তাদের কান্নাকে মোটেও ভালোভাবে নেওয়া হয় না। এই পার্থক্যটা সামা‌জিক ও লৈ‌ঙ্গিক কার‌ণে হয়ে থাকে।

আমাদের সমাজের পুরুষেরা পরিবারের বাড়তি প্রত্যাশার চাপ বহন করতে করতে কখন ক্লান্ত হয়ে পড়েন— আমরা অনেক সময় বুঝতেও পারি না। অথচ তারা বাড়তি প্রত্যাশা পূরণ করতে গিয়ে হতাশায় ডুবে যান। অতিরিক্ত ডিপ্রেশন থেকে পুরুষ বিরক্ত প্রকাশ, হঠাৎ রেগে যাওয়া, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর মতো কাজগুলো করে থাকেন। অনেক সময় অতিরিক্ত ঝুঁকিগ্রহণ করার মাধ্যমেও মেল ডিপ্রেশনের প্রকাশ করেন তারা। 

মনোবিদরা বলেন, ‘‘পুরুষদের ডিপ্রেশন বিষয়ে কথা বলার পরিবর্তে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে’’।

এদিকে পুরুষদের মধ্যে মানসিক সুস্থতা নিয়ে সচেতনতাও বেশ কম। তাদের কাছে আবেগ প্রকাশ মানেই সমাজের কাছে, পরিবারের কাছে ছোট হয়ে যাওয়া। পুরুষদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠা উচিত। নিজের আবেগ প্রকাশে ট্যাবু থেকে বের হওয়া উচিত।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ