চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ধানখেত থেকে জসিম উদ্দিন (৫৫) নামের এক কুঁচিয়াশিকারির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বরুমচড়ার বাঘমারা এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। জসিম গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আনোয়ারার বিভিন্ন এলাকায় কুঁচিয়া শিকার করে আসছেন।

পুলিশ জানায়, গত রোববার জসিম উদ্দিন মুঠোফোনে পরিবারের সদস্যদের জানান, কুঁচিয়া শিকারের সময় তাঁকে সাপে কেটেছে। এরপর জসিম উদ্দিনকে বরুমচড়া এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে গতকাল ধানখেতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। তাঁর বাঁ হাতে সাপে কাটার চিহ্ন দেখা গেছে।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সাপে কাটার বিষয়টি পরিবারকে আগেই নিহত জসিম উদ্দিন জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় স্বজনেরা জসিমের লাশ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রলারসহ ৬ জেলে অপহরণ 

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে ফেরার সময় কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলীয় জলসীমা থেকে একটি ট্রলারসহ ছয় জেলেকে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন ‘আরাকান আর্মি’। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিনের ছেড়াদ্বীপের কাছাকাছি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।

টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে ছেড়াদ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় আরাকান আর্মি একটি ট্রলারসহ ছয় মাঝি-মাল্লাকে অপহরণ করে। 

আরো পড়ুন:

মিয়ানমারে পণ্য পাচারকালে আটক ১৫

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে অভিবাসী নৌকাডুবি, শতাধিক নিখোঁজ

অপহৃত ট্রলারের মালিক জাকির হোসেন বলেন, ‍“ট্রলারটি নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর আব্দুর করিম মাঝিসহ ছয় জেলে মাছ ধরতে সাগরে যান। ১৮ নভেম্বর সকালে ঘাটে ফেরার পথে ছেড়াদ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছালে আরাকান আর্মি তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তাদের আটক করে ট্রলারসহ নিয়ে যায়।”

মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আরাকান আর্মির উপকূলীয় নিরাপত্তা ইউনিট সমুদ্রপথে টহল জোরদার করেছে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়। জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু আইন অমান্য করায় ফের এ ধরনের ট্রলার ধরা হচ্ছে। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “ট্রলারসহ কিছু জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মাসে নাফ নদ ও সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে বিভিন্ন সময় বিজিবির সহায়তায় ফেরত আনা হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ