গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আওয়ামী লীগের বন্দী এক নেতা মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মারা যাওয়া ওই নেতার নাম মুরাদ হোসেন (৬৫)। তাঁর বাড়ি রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকায়। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আছে। মিরপুর থানা–পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারগারে পাঠায়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারাগারের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে বিকেল পাঁচটার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

 সোনারগাঁয়ে অবৈধ চুনা ও ঢালাই কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা চুনা ও ঢালাই কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দিঘিরপাড় ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

অভিযানের খবর পেয়ে দুটি কারখানার মালিকরা পালিয়ে যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মিল্টন রায়। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল, সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার জাহেদুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকায় চুনা কারখানা ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়।

এসব কারখানায় প্রতি মাসে প্রায় ২০লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে এ কারখানায় ব্যবহার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় এক্সকিউভেটার দিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গ্যাস সংযোগে ব্যবহৃত পাইপ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল জানান, ৫ আগষ্টের পর রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় একটি গ্রুপ সরকারী সম্পদ গ্যাস অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গড়ো তোলে।

দুটি কারখানায় প্রতিমাসে সরকারের প্রায় ২০লাখ টাকার সম্পদ চুরি করে ব্যবহার করছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ