হার্মিস গ্রিক পুরাণের একজন গুরুত্বপূর্ণ দেবতা। তিনি দেবতাদের বার্তাবাহক হিসেবে পরিচিত এবং তাকে অলিম্পাসের বারোজন প্রধান দেবতার একজন গণ্য করা হয়। তিনি বাণিজ্য, চুরি, ভ্রমণ, ক্রীড়া, সাহিত্য, এবং আবিষ্কারের দেবতা। তিনি প্রধান দেবতা জিউস এবং প্লিয়াড মাইয়া এর পুত্র। তিনি প্রধান দেবতা জিউস এবং প্লিয়াড মাইয়া এর পুত্র।

মিথ অনুযায়ী, হার্মিস অলৌকিকভাবে একদিনের মধ্যেই গর্ভে আসেন এবং জন্মগ্রহণ করেন। ভোরে জন্ম মায়া ভোরে হার্মিসকে জন্ম দেন এবং প্রসবের পর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হার্মিস হামাগুড়ি দিয়ে গুহা থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি শুরু থেকেই অত্যন্ত ধূর্ত এবং বুদ্ধিমান ছিলেন। বেরিয়ে আসার পথে তিনি একটি কচ্ছপ দেখতে পান, সেটিকে মেরে তার খোলস দিয়ে একটি বীণা তৈরি করেন।

আরো পড়ুন:

কণ্ঠস্বর ভালো রাখার জন্য যেসব অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন

বিরক্ত হলে গাছের চূড়ায় উঠে যায় ‘লাল ঝুটি টিয়া’

সেই একই সন্ধ্যায়, হার্মিস তার সৎ ভাই অ্যাপোলোর পবিত্র গবাদি পশুদের একটি পাল চুরি করতে থেসালিতে চলে যান।  তিনি গরুর ক্ষুরের ছাপ লুকানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন (যেমন গরুদের উল্টো করে হাঁটানো, নিজের পায়ে ডালপালা বেঁধে স্যান্ডেল তৈরি করা)।

অগ্নি আবিষ্কার তিনি দুটি কাঠি একসাথে ঘষে আগুন জ্বালানোর পদ্ধতিও আবিষ্কার করেন এবং দুটি চুরি করা গরু বলি দেন। অ্যাপোলো তার হারানো পশুর খোঁজ পান এবং হার্মিসকে সন্দেহ করেন। তিনি জিউসের কাছে অভিযোগ করেন, কিন্তু হার্মিস চুরির কথা অস্বীকার করেন।

অবশেষে, জিউস হস্তক্ষেপ করেন এবং হার্মিসের ধূর্ততায় মুগ্ধ হয়ে দুজনকে মিটমাট করিয়ে দেন। হার্মিস অ্যাপোলোকে তার আবিষ্কৃত বীণা উপহার দেন, এবং বিনিময়ে অ্যাপোলো তাকে পশুপালনের দায়িত্ব প্রদান করেন। 

হার্মিস মৃত ব্যক্তিদের আত্মাকে পাতাল রাজ্যে (আন্ডারওয়ার্ল্ড) নিয়ে যাওয়ার পথপ্রদর্শক বা ‘আত্মা নির্দেশক’ (psychopomp) হিসাবেও কাজ করতেন। কম সংখ্যক দেবতার মধ্যে হার্মিস ছিলেন একজন, যিনি দেবতা, নশ্বর এবং পাতাল - এই তিন জগতের মধ্যে অবাধে চলাচল করতে পারতেন।

সূত্র: ডাক স্ট্রিস

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে হঠাৎ কেন অবস্থান নিলেন ট্রাম্প

যৌন নিপীড়ন ও নারী পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত কুখ্যাত জেফরি এপস্টেইনের নথিগুলো প্রকাশের পক্ষে ভোট দিতে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে আগের অবস্থান থেকে সরে এসে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী অবস্থান নিয়েছেন তিনি।

গতকাল রোববার রাতে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে ভোট দেওয়া উচিত। কারণ, আমাদের লুকানোর কিছু নেই।’

কয়েক দিন ধরে ট্রাম্প প্রয়াত এপস্টেইনের নথি প্রকাশ–সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে আসছিলেন। এখন সেখান থেকে তিনি সরে এসেছেন।

ট্রাম্প এমন সময়ে তাঁর অবস্থান বদল করলেন, যখন কিনা প্রতিনিধি পরিষদে এপস্টেইনের নথি প্রকাশ–সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়নের ওপর ভোটাভুটির প্রস্তুতি চলছে। ওই আইনের আওতায় মার্কিন বিচার বিভাগ নথিগুলো জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করতে বাধ্য হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটির পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উচ্চকক্ষ সিনেটে এটি পাস হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটির পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উচ্চকক্ষ সিনেটে এটি পাস হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

ডেমোক্র্যাট ও কিছু রিপাবলিকান সদস্য এমন একটি পদক্ষেপের জন্য চাপ দিচ্ছেন, যা জেফরি এপস্টেইনের মামলা–সংক্রান্ত আরও নথি প্রকাশ করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে বাধ্য করবে।

এপস্টেইন ফাইল ট্রান্সপারেন্সি অ্যাক্ট নামের এই বিলের উদ্দেশ্য হলো, জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত সব অগোপনীয় নথি, রেকর্ড, চিঠিপত্র এবং তদন্তের তথ্য প্রকাশ করতে বিচার বিভাগকে বাধ্য করা।

শোনা যাচ্ছিল, বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য দলের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবেন। আর এর মধ্যেই নিজের অবস্থান বদল করে রিপাবলিকান সদস্যদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানালেন ট্রাম্প।

রিপাবলিকান প্রতিনিধি টমাস ম্যাসি গতকাল এবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রায় ১০০ জন রিপাবলিকান প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। ম্যাসি এ প্রস্তাবের উদ্য্যোক্তাদের একজন।

আরও পড়ুনজেফরি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত ইমেইলে একাধিকবার ট্রাম্পের নাম১২ নভেম্বর ২০২৫

এপস্টেইন ফাইল ট্রান্সপারেন্সি অ্যাক্ট নামের এই বিলের উদ্দেশ্য হলো, জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত সব নথি, রেকর্ড, চিঠিপত্র ও তদন্তের তথ্য প্রকাশ করতে বিচার বিভাগকে বাধ্য করা।

ট্রাম্প ফ্লোরিডা থেকে ম্যারিল্যান্ডের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজ বিমানঘাঁটিতে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরে ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দেন।

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘বিচার বিভাগ এরই মধ্যে এপস্টেইন–সংক্রান্ত হাজার হাজার পৃষ্ঠাভর্তি তথ্য জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করেছে। তারা বিভিন্ন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতার (যেমন বিল ক্লিনটন, রিড হফম্যান, ল্যারি সামার্স) সঙ্গে এপস্টেইনের সম্পর্ক খতিয়ে দেখছে। হাউস ওভারসাইট কমিটি আইনগতভাবে যে তথ্য চাইবে, তাই পেতে পারবে—আমার কোনো আপত্তি নেই!’

এপস্টেইনকে ২০০৮ সালে ফ্লোরিডায় ১৮ বছরের কম বয়সী একজন মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যৌনবিষয়ক পণ্য পাচারের অন্য এক মামলায় বিচারের অপেক্ষায় থাকাকালে ২০১৯ সালে কারাগারে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনএপস্টেইন–কাণ্ডে নিজেকে বাঁচাতেই কি বিল ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করলেন ট্রাম্প১৫ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বামপন্থা, ইসলাম ও পালনবাদ: ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন
  • সুন্দরী প্রতিযোগিতায় হোঁচট খেয়ে পড়ার আলোচিত সব দুর্ঘটনা
  • পালানোর সময় আটক জনির দায় স্বীকার করে জবানবন্দি
  • প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ
  • অটোরিকশার জন্য বন্ধুকে হত্যা করে হাসপাতালে নেন তরুণ, পরে গ্রেপ্তার
  • সৌদি আরবে দুর্ঘটনার কবলে বাস: বেঁচে আছেন ভারতীয় ওমরাহযাত্রীদের একজন
  • টাইব্রেকারের ‘কালো জাদু’র অভিযোগ নাইজেরিয়ার, বিশ্বকাপ–স্বপ্ন ভেঙে চুরমার
  • ‘১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা খুঁত বের করবে’
  • এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে হঠাৎ কেন অবস্থান নিলেন ট্রাম্প