সাংবাদিক মিজানুরকে মধ্যরাতে নিয়ে গিয়ে সকালে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে ডিবি
Published: 19th, November 2025 GMT
দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আজ বুধবার সকাল ১০টার পর তাঁকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিজানুর মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বাসায় এলাম। ডিবি আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। আমি সুস্থ আছি।’
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিজানুরকে রাতে একটি বিষয়ে কথা বলার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর রাতেই তাঁকে তাঁর বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।’
মিজানুরকে ঠিক কী কথা বলার জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু বলেননি শফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর প্রথম আলোকে বলেন, ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) কার্যকরের প্রেক্ষাপটে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও করণীয় বিষয়ে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। তিনি এর সঙ্গে যুক্ত। ডিবির কার্যালয়ে তাঁকে নিয়ে গিয়ে কর্মকর্তারা এই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে কথা বলেছেন। ডিবির কর্মকর্তাদের কথায় তাঁর মনে হয়েছে, ওপরের মহলের নির্দেশনায় তাঁরা চান, এই সংবাদ সম্মেলন না হোক। এ জন্য তাঁকে একধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ দেওয়া হয়েছে।
দেশের অনলাইন সংবাদমাধ্যম, পত্রিকা ও টেলিভিশনের অনলাইন ও ডিজিটাল বিভাগের প্রধানদের সংগঠন ‘অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স’-এর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর। তাঁকে গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁর বাড্ডার বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছিল, ডিবি পরিচয়ে কিছু লোক মিজানুরকে আটক করে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে খবরও বের হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয় আলোচনা-সমালোচনা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম জ ন রক
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দর নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ শুরু হয়েছে। সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোও জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দুই পর্বের এই সংলাপের প্রথম পর্ব শুরু হয়।
সংলাপে অংশ নেওয়া বাকি পাঁচটি দল হলো বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
সংলাপের শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, সংলাপের মূল উদ্দেশ্য দুটি। আচরণবিধি পরিপালন নিয়ে আলোচনা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দলগুলোর সহযোগিতা নিশ্চিত করা। নির্বাচন কমিশন একা নয়, সুন্দর–গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোও জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আচরণবিধির খসড়া করার সময় নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের দেওয়া অনেকগুলো সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়েবসাইটে দিয়ে জনগণ ও রাজনৈতিক দলের মতামত পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে সুন্দর নির্বাচনের জন্য আচরণবিধি প্রস্তুত নয়, পরিপালনটাই গুরুত্বপূর্ণ।
গত কয়েকটি নির্বাচনের কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রবিমুখ হয়েছে উল্লেখ করেন নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে একটা ভাবনা ছিল যে ভোট হয়তো আগেই দেওয়া হয়ে গেছে।
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের অঙ্গীকার করার আহ্বান জানান সিইসি।
বেলা আড়াইটায় বিএনপি, গণ অধিকার পরিষদসহ আরও ছয়টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে সংলাপের কথা রয়েছে ইসির।