৩ দিনে ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে ভারত
Published: 19th, November 2025 GMT
ভারতীয় সুন্দরবনের ভারতীয় জলসীমায় ব্যাপক নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। গত শনিবার থেকে পরপর তিনদিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিনটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করেছে ভারত। মাছ সহ এসব ফিশিং ট্রলার বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ৭৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকেও গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টাল পুলিশ।
ভারতের সুন্দরবন কোস্টাল বেল্টের অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে আটক করা হয় ২৯ জন বাংলাদেশি মৎজীবীকে। এরপর রবিবার আবারো একটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার আটকের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় ২৬ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের সোমবার নামখানার কাছে আরো একটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার সহ ২৪ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে ভারত।
আরো পড়ুন:
সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া ভারতীয় ৭ পরিচালক
‘গতকালের রায়ের’ পর এটা আরেকটা জয়: উপদেষ্টা আসিফ
জানা গেছে, কাকদ্বীপ আদালতে তোলার পর বাংলাদেশি এই মৎস্যজীবীদের আপাতত কারাগারে ঠাঁই হয়েছে। ভারতীয় কোস্টাল থাকা সূত্রে খবর, আচমকা বাংলাদেশি ট্রলারের আনাগোনা ভারতীয় সীমান্তের আশেপাশে বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের একাংশ পুলিশ প্রশাসনের অতি তৎপরতায় বেশ অবাক।
প্রসঙ্গত চলতি বছরে চারটি ভারতীয় ট্রলার বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে। ৬২ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী বাংলাদেশের জেলে বন্দী রয়েছেন। এদের মধ্যে বাবলু দাস নামে এক মৎস্যজীবীর বাংলাদেশের জেলবন্দী অবস্থায় সম্প্রতি মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ভারতীয় মৎসজীবী সংগঠনগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। বাকি ৬১ জন মৎস্যজীবী ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলো।
অনেকেই বলছেন, ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি করতেই সীমান্ত এলাকা জুড়ে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে ভারত। সর্বশেষ গত দুই মাসে এই নিয়ে প্রায় ছয়টি বাংলাদেশি ট্রলার সহ মোট ১৩৪ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে হেফাজতে নিয়েছে ভারত। যদিও দুই দেশের কোনো তরফেই সরকারি পর্যায়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়নি।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসু নির্বাচনে ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ নামে প্যানেল ঘোষণা বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ নামে প্যানেল দিয়েছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। এই প্যানেলের হয়ে নির্বাচনে ভিপি পদে লড়বেন গৌরব ভৌমিক, জিএস পদে ইভান তাহসীব এবং এজিএস পদে শামসুল আলম মারুফ।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ।
প্যানেলে নয়টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। এই সংগঠনগুলো হলো সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, রাষ্ট্রচিন্তা, চিন্তক সাহিত্য পত্রিকা, জবি ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ইন্ডিজিনাস স্টুডেন্টস ইউনিয়ন।
ভিপি পদে প্রার্থী গৌরব ভৌমিক সংগীত বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, জিএস পদে ইভান তাহসীব ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এবং এজিএস পদে প্রার্থী শামসুল আলম মারুফ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে রয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খিজির আল সিফাত, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে নাট্যকলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান ভূঁইয়া জয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকশা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নু মং প্রূ মারমা এবং আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফিকা লেবিন মৌমি।
আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে প্যানেলে মনোনয়ন পেয়েছেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোয়ান অফ আর্ক সুকন্যা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সালমান সাদ, ক্রীড়া সম্পাদকে নাট্যকলা বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুগ্ধ আনন, পরিবহন সম্পাদে ত্রিমাত্রিক শিল্প ও নকশা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহিন, সমাজসেবা সম্পাদকে সংগীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আমরিন জাহান অপি এবং পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে ইংরেজি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সায়্যিদা মুবাশ্বিরা।
এ ছাড়া প্যানেলে সদস্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আবেদীন রিতিকা, আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাজওয়ার ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাগ্নিকা চক্রবর্তী, ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগেট ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রৌদ মুক্তাদির, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আদিব, ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজস (আইএমএল) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিতিকা (রিদি জাফরাত) এবং দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পল্লব কুমার।