নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে কথাটা উঠেছিল—হামজা চৌধুরীর শুধু গোলকিপিং করাটাই বাকি! কেন এমন কথা, সেটিও সবার জানা। গত ১৩ অক্টোবরের সেই ম্যাচে হামজার দুর্দান্ত দুটি গোলে ম্যাচে ২–১ এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ড্র করে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে হামজা কী করেননি—গোল করা থেকে গোল ঠেকানো, এমনকি মাঝমাঠে খেলাও তৈরি করেছিলেন। এ কারণে সমর্থকেরা সেদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে হামজাকে নিয়ে ওই কথাটি বলেছিলেন।

মজার বিষয়, সমর্থকদের সেই কথা যেন মাটিতে পড়ার আগেই হামজা বুঝিয়ে দিলেন, পোস্টের নিচে দাঁড় করিয়ে দিলেও তিনি একেবারে খারাপ করবেন না! নেপালের বিপক্ষে ড্রর পরের ম্যাচেই কাল রাতে ভারতের বিপক্ষে এমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছিল হামজাকে।

ম্যাচটি ছিল এশিয়ান কাপের বাছাই। দুই দলই চূড়ান্ত পর্বে ওঠার সুযোগ হারানোয় বলতে পারেন কাগজে–কলমে নিয়ম রক্ষার ম্যাচ; কিন্তু প্রতিপক্ষ যেহেতু ভারত—ম্যাচটি তাই মর্যাদার লড়াই হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের জন্য। সে লড়াইয়ে ১–০ গোলের জয়ে অবশ্যই উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। তবে জয় হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা ছিল, যদি ৩১ মিনিটে গোলকিপারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে গোল না ঠেকাতেন হামজা।

বল দেওয়া–নেওয়া করতে গিয়ে অকারণে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল মারমা। কর্নারের কাছাকাছি গিয়ে বল হারান মিতুল। সেখান থেকে বল পেয়ে যান ভারতের উইঙ্গার লালিয়ানজুয়ালা চাংতে। ফাঁকা পোস্ট দেখে শট নেন। তবে এমন কিছু ঘটতে পারে, সেটা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন হামজা। দৌড়ে পোস্টের মাঝমাঝি এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। তখন তাঁর আরেক সতীর্থও পোস্ট পাহারায় থাকলেও পজিশনটা সুবিধাজনক ছিল না।

আরও পড়ুনভারতকে হারানোয় ২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার১ ঘণ্টা আগে

লালিয়ানজুয়ালার বাঁকানো শট পোস্টে ঢোকার আগেই লাফিয়ে করা হেডে বল ‘ক্লিয়ার’ করেন হামজা। নইলে নিশ্চিত গোল!

গোলকিপারের কাজ গোল ঠেকানো। সে জন্য দুই হাত ব্যবহারের সুবিধাটা পান; কিন্তু হামজা তো গোলকিপার নন, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। সে বিচারে ম্যাচের ওই মূহূর্তে গোলকিপারের ভূমিকায় তাঁর কাজটি গোলকিপারের চেয়েও কঠিন ছিল। কারণ, গোলকিপার অনায়াসেই দুই হাতের ব্যবহারে লালিয়ানজুয়ালার শটটি থামাতে পারতেন। হামজা একই কাজ করলে পেনাল্টি পেত ভারত, হামজাকে হয়তো কার্ডও দেখতে হতো; কিন্তু পাকা ডিফেন্ডারের মতোই মাথার ব্যবহারে গোলকিপারের বিকল্প কাজটা করে দেন হামজা।

জয়ের পর সতীর্থদের সঙ্গে উদ্‌যাপন হামজার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ লক প র র

এছাড়াও পড়ুন:

মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে এমইউজে খুলনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় বিদায়ী কমিটির নেতারা নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। 

আরো পড়ুন:

ভুয়া তথ্য প্রচার ঠেকাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

এমইউজের সভাপতি রাশেদ, সম্পাদক রানা 

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন। 

গণমাধ্যম কর্মীদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই দাবি করে তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের বিভেদ ও অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে আর কাউকে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। বিগত ১৬ বছরের নির্যাতন ও জুলুমের শিকার সাংবাদিকদের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য ইউনিয়নকে গতিশীল করতে নবনির্বাচিতদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।” 

এমইউজে খুলনার বিদায়ী সভাপতি মো. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান হিমালয়ের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম ও এইচ এম আলাউদ্দিন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল ও নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন। 

দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নবনির্বাচিত সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নূরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নূর, কোষাধ্যক্ষ মো. রকিবুল ইসলাম মতি, নির্বাহী সদস্য মো. এরশাদ আলী ও কে এম জিয়াউস সাদাত।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ