ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড)–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসটিতে কোনো যাত্রী ছিলেন না।
বাসের মালিকের দাবি, দুর্বৃত্তরা বাসে আগুন দিয়েছে। তবে বাসচালক আগুন দিতে কাউকে দেখেননি। আশুলিয়া থানার পুলিশ বলছে, চালকের সহকারীর অসচেতনভাবে ফেলা দেশলাইয়ের কাঠি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।
বাসমালিক, চালক ও ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, সীমা–সিমলা নামের বাসটি আজ বিকেল চারটার দিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী থেকে ডিইপিজেডে যাচ্ছিল। বাসটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আনা–নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ডিইপিজেডের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ চালক বাসের পেছনের আসনে আগুন জ্বলতে দেখেন। তিনি দ্রুত বাসটি থামিয়ে বাস থেকে নেমে যান। পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
বাসমালিক সেলিম খান বলেন, ‘ডিইপিজেড পাঁচটায় ছুটি হবে, তাই শ্রমিকদের আনতে বাসটি পলাশবাড়ী থেকে ডিইপিজেডে যাচ্ছিল। ডিইপিজেডের কাছাকাছি পেট্রলপাম্পের সামনে আসার পর ড্রাইভার পেছনের সিটে আগুন দেখতে পান। পেছনের সিটে কেউ আগুন ধরিয়ে দিছে। কীভাবে আগুন দিছে, জানি না। আগুনে এক লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।’
বাসচালক রেজাউল বলেন, আগুনের তাপ পেয়ে তিনি পেছনে তাকিয়ে দেখেন, বাসের ভেতরে আগুন জ্বলছে। প্রথমে বাসের পেছনের ছয়টি সিটে আগুন লাগে। কোনো কারণ ছাড়া এমনি এমনি বাসে আগুন লাগার কথা নয়। তবে কাউকে বাসে আগুন লাগাতেও দেখেননি বলে জানান তিনি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী বলেন, বাসে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাসের পেছনের দিকের বেশ কিছু আসন পুড়ে গেছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে অবৈধ চুনা ও ঢালাই কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা চুনা ও ঢালাই কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দিঘিরপাড় ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানের খবর পেয়ে দুটি কারখানার মালিকরা পালিয়ে যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মিল্টন রায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল, সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার জাহেদুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকায় চুনা কারখানা ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়।
এসব কারখানায় প্রতি মাসে প্রায় ২০লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে এ কারখানায় ব্যবহার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় এক্সকিউভেটার দিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গ্যাস সংযোগে ব্যবহৃত পাইপ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল জানান, ৫ আগষ্টের পর রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় একটি গ্রুপ সরকারী সম্পদ গ্যাস অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গড়ো তোলে।
দুটি কারখানায় প্রতিমাসে সরকারের প্রায় ২০লাখ টাকার সম্পদ চুরি করে ব্যবহার করছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।