ইটভাটা সচল করার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
Published: 19th, November 2025 GMT
ইট ভাটা সচল করার দাবিতে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন মালিক-শ্রমিকরা। ফলে মহাসড়কের উভয় লেনে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ভাঙা ব্রিজ এলাকায় তারা সড়ক অবরোধ করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় অবরোধ চলছিল।
আরো পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে স্ত্রী নিহত
মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সড়ক যেন মরণফাঁদ
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, এ বছর সাভারে ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে ভাটার মালিকদের লাখ লাখ টাকা লোকশান গুণতে হয়েছে। ভাটা বন্ধের ফলে অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ছেন। তারা পরিবার নিয়ে কষ্টে আছেন।
সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহেল আহমেদ বলেন, “ইটভাটা সচল করার দাবিতে ভাটার মালিক-শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে। পুলিশ সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ইট ভ ট অবর ধ অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
দুই ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছাড়লেন ইটভাটার মালিক-শ্রমিকরা
ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস পেয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১২টার কিছু সময় আগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে সরে গেছেন বিক্ষোভকারীরা।
মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, মহাসড়ক এখন ক্লিয়ার। বিক্ষোভকারীদের সাথে আমরা কথা বলেছি, তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনও আসবেন।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান অভিযানের প্রতিবাদে এবং ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি সাভার উপজেলা শাখার ব্যানারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা।
অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় লেনে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
ইটভাটার মালিকরা বলেছেন, ২০২৫ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত আমাদের সময় দিতে হবে। আমাদের লেবারদের টাকা দেওয়া হয়েছে, মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে; ২০২৬ সালের পর সরকার যদি বাধা দেয়, আমরা আর চালাবো না।
তারা আরো বলেন, গত বছর আদালতের নির্দেশনার পর যখন অভিযান শুরু হয়, তখন আদালত বলেছিলেন, যারা বৈধ আছেন, তারা থাকেন। গত বছরই যদি সাভারকে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড ঘোষণা করা হতো, তাহলে এ বছর আমরা বিনিয়োগ করতাম না, আমাদের এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। ঢাকার পরিবেশ আমরা দূষিত করতে চাই না। কিন্তু, এই সিজনটা আমাদের সময় দিতে হবে। এছাড়া, আদালত থেকে আমরা আমাদের পক্ষে রায়ও নিয়ে এসেছি, সেটিও মানা হচ্ছে না।
ঢাকা/সাব্বির/রফিক