মুশফিকের শততম টেস্ট নিয়ে সাকিব বললেন, ‘ম্যাচটি যদি আপনার সঙ্গে খেলতে পারতাম’
Published: 19th, November 2025 GMT
মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দারুণ এই মাইলফলকের দেখা পেলেন মুশফিক। ঐতিহাসিক এই অর্জনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
মুশফিকের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচের একটি ছবি নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন সাকিব। ক্যাপশনে লেখেন, ‘লর্ডসে আপনার খেলা প্রথম টেস্ট ম্যাচ মনে আছে। বিকেএসপির বিনোদন কক্ষে প্রতিটি বল দেখেছি। সেদিন থেকে আপনি আমার জন্য বাংলাদেশের অসংখ্য ক্রিকেটারের অনুপ্রেরণা। আপনি অনেক দিন ধরেই খেলেছেন এবং নিজের সেরাটা দিয়েছেন। বয়সভিত্তিক দলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় থেকেই আমি আপনাকে আমার অধিনায়ক হিসেবে দেখেছি এবং এখন ও সামনে যত দিন খেলব আপনিই হবেন আমার অধিনায়ক। মুশফিক ভাই, এই বিশেষ মুহূর্তে ১০০তম টেস্টের জন্য আপনাকে শুভকামনা জানাই। যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই এটা ঐতিহাসিক অর্জন। যেভাবে আপনার প্রথম ম্যাচ দেখেছিলাম, তেমনি ১০০তম টেস্টেও আপনার খেলা প্রতিটি বল দেখব। আশা করি ম্যাচটি উপভোগ করবেন এবং যদি এমন হতো ম্যাচটি আপনার সঙ্গে খেলে মাঠে আপনার অর্জন উদ্যাপন করতে পারতাম!’
আরও পড়ুনমিরপুর টেস্ট: মুশফিকের শততম টেস্টে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ দলে মুশফিকের এক সময়ের সতীর্থ ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব এখন বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়াচ্ছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব অনেক দিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ ছিল গত বছরের অক্টোবরে, ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফিরতে পারেননি নৌকা প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিব।
এখন আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলছেন সাকিব। এই লিগে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, সাইফ হাসান ও তাসকিন আহমেদ। সাকিব রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়কত্ব করবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকুরের পর্দার আড়ালের পরিশ্রমের গল্প শোনালেন আয়ারল্যান্ডের কোচ
খেলার মাঠে মুশফিকুর রহিমের সবার আগে আসা, ঘাম ঝরানো পরিশ্রম, ব্যাট-বলের অনুশীলন শেষে সবার পরে যাওয়া এসব গল্প শোনা হয়েছে অনেক সময়। টিভির ক্যামেরায় কিংবা ফটো স্টোরিতে বারবার উঠে এসেছে তার অধ্যবসয়, শৃঙ্খলা, নিবেদন ও নিষ্ঠার ছবি।
ক্যামেরার আড়ালে তিনি করেন? কিভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন? কিভাবে নিজেকে গড়ে তোলেন? তার ধৈর্য, নিয়মানুবর্তিতা, সততা সবটাই গত দেড় সপ্তাহ খুব কাছ থেকে দেখেছেন আয়ারল্যান্ডের কোচ হাইনরিখ মালান।
আরো পড়ুন:
‘একশটা টেস্টই যেন শেষ না হয়’
মুশফিকুরের শততম টেস্ট নিয়ে আশরাফুলের উচ্ছ্বাস
২০০৫ সালের পুচকে মুশফিকুর কেন আজকের বড় তারকা হলেন, দেশের পোস্টারবয় হলেন তা মালান বুঝে গেছেন এই কয়েক দিনেই। অল্পদিনেই তার মনে দাগ কেটেছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা তারকা।
তার মুখ থেকেই শুনুন মুশফিকুরের পর্দার আড়ালের পরিকশ্রমের গল্প, ‘‘আমি মনে করি তার পেশাদারিত্ব (শেখার মতো)। আমি ভোরে উঠি এবং প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তাকে নাস্তা করতে দেখি। তারপর সে সবার আগে বাসে ওঠে যায়, মাঠে চলে যায় এবং অন্যরা মাঠে আসার আগেই গা গরম করে, স্ট্রেচিং করে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করে দেয়।”
‘‘আমার মনে হয়, যদি কেউ ধারাবাহিকভাবে পর্দার আড়ালে এমন পরিশ্রম করে যায় দিন-রাত, তখন জানা থাকে, সময়টা এলে পারফর্ম করার রসদ জমা আছে। সেটা দীর্ঘ সময় ধরে প্রমাণও করেছে।’’ – যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় মুশফিকুর। প্রতিপক্ষ দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর। তবুও তাকে সম্মান দিতে একটুও কার্পণ্য করেননি মালান, ‘‘প্রথমত, দেশের জন্য ১০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলা একটি বিশাল অর্জন। আমরা মাত্র ১০টি টেস্ট খেলেছি। স্থায়ীত্ব বলতে কী বোঝায়, কঠোর পরিশ্রম মানে কী, সেসব ফুটিয়ে তোলে এটি। এটির সঙ্গে চারশ-পাঁচশ প্রস্তুতি পর্বও যোগ করুন, এত বছর ধরে যা সে করেছে। আমাদের জন্য তাই ব্যাপারটি হলো উপলব্ধির যে, টেস্ট ক্রিকেট কতটা পরিশ্রমের। আশা করি, এই পাঁচ দিন তার খুব ভালো কাটবে না। তবে ১০০ টেস্ট খেলার জন্য তাকে অভিনন্দন।”
এই মাইলফলক, যা শুধু একটি সংখ্যা নয়, মুশফিকুরের ২০ বছরের সাধনার প্রতিচ্ছবিও। তবে মাঠে তাকে কঠিন সময় কাটাতে হবে সেই বার্তাও দিয়ে রাখলেন মালান, ‘‘আশা করি আগামী ৫ দিন তার জন্য খুব একটা ভালো যাবে না (হাসি)। তবে তাঁকে অভিনন্দন।’’
সিলেট টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে আয়ারল্যান্ড। ঢাকা টেস্টে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চায় আইরিশরা। মালানের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী সুর, ‘‘আমরা এখানে (মিরপুর) প্রথম ম্যাচ খেলেছিলাম ২০২৩ সালে। কন্ডিশন কেমন হবে, সে সম্পর্কে আমাদের একটা ভালো ধারণা আছে। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব এবং এমনভাবে লড়াই করতে পারব, যেন আমাদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারি।”
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল