শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়: বাম জোট
Published: 18th, November 2025 GMT
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে বিচারিক প্রক্রিয়া যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। পাশাপাশি আপিল, রিভিউসহ বিচারের সব ধাপ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হোক চান তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় বাম নেতারা এ কথা বলেন। রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কার্যালয়ে এ সভা হয়।
সভার এক প্রস্তাবে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জুলাই হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, গত বছরের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচারের দাবি বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের। যেকোনো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী অপরাধীদের বিচার প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষের কাম্য। ফলে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারে শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ববরণকারী পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সাবেক আইজিপিকে (পুলিশের মহাপরিদর্শক) রাজসাক্ষী বানিয়ে মাত্র পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া শহীদ পরিবার যেমন মেনে নেয়নি, তেমনি বাম জোটও গ্রহণ করেনি। তাই তাঁর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করার আহ্বান জানানো হয়। না হলে পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ভবিষ্যতে আরও বেপরোয়া হয়ে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে রাজসাক্ষী হয়ে পার পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে।
সভায় জুলাই-আগস্টের সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে গেলে অন্তত একবার হলেও চিন্তা করে।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক হত য ক ণ ড অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়: বাম জোট
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে বিচারিক প্রক্রিয়া যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। পাশাপাশি আপিল, রিভিউসহ বিচারের সব ধাপ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হোক চান তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় বাম নেতারা এ কথা বলেন। রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কার্যালয়ে এ সভা হয়।
সভার এক প্রস্তাবে গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া জুলাই হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, গত বছরের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচারের দাবি বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের। যেকোনো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী অপরাধীদের বিচার প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষের কাম্য। ফলে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারে শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ববরণকারী পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সাবেক আইজিপিকে (পুলিশের মহাপরিদর্শক) রাজসাক্ষী বানিয়ে মাত্র পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া শহীদ পরিবার যেমন মেনে নেয়নি, তেমনি বাম জোটও গ্রহণ করেনি। তাই তাঁর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করার আহ্বান জানানো হয়। না হলে পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ভবিষ্যতে আরও বেপরোয়া হয়ে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে রাজসাক্ষী হয়ে পার পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে।
সভায় জুলাই-আগস্টের সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়, যাতে ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে গেলে অন্তত একবার হলেও চিন্তা করে।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম।