মির্জাগঞ্জে মিলল মালিকবিহীন ৬ মহিষের বাচ্চা, এলাকায় চাঞ্চল্য
Published: 19th, November 2025 GMT
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় মালিকবিহীন ছয়টি মহিষের বাচ্চা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আমানত জামে মসজিদের সামনে মহিষের বাচ্চাগুলোকে খড়কুটো খেতে দেখা যায়। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত কেউ সেগুলোর মালিকানা দাবি করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা শিপন মল্লিক (৪৫) প্রথমে মহিষের বাচ্চাগুলো দেখতে পান। তিনি বলেন, ভোরবেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদের সামনে ছয়টি মহিষের বাচ্চাকে খড়কুটো খেতে দেখেন। এর আগে কখনো মহিষের বাচ্চাগুলোকে এলাকায় দেখা যায়নি। পরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মহিষের বাচ্চাগুলোর ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। তবে মালিককে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে নানা আলোচনা ও রহস্য তৈরি হয়েছে। মহিষের বাচ্চাগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছে।
মো.
এদিকে মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে মহিষের বাচ্চাগুলো নিতে এলে তাঁর কথাবার্তায় অসংগতি পায় পুলিশ। সঠিক প্রমাণ দিতে না পারায় তাঁকে থানায় আটকে রাখা হয়।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মহিষের বাচ্চাগুলোর মালিক এখনো পাওয়া যায়নি। এগুলো চোরাই কিনা বা কীভাবে এখানে এল—তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ মহিষের বাচ্চাগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রসেনজিৎ জুটি, সঙ্গী ঋতুপর্ণা
ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়।
সংসার ভাঙার পাশাপাশি দর্শক হারান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় এই জুটিকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। কয়েক মাস আগে দূরত্ব কমিয়ে দেবশ্রীর সঙ্গে সিনেমা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন প্রসেনজিৎ।
আরো পড়ুন:
মুখোমুখি জিতু-দিতিপ্রিয়া, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সংকট কী কাটল?
গায়িকা থেকে সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক, মৈথিলীকে কতটা জানেন?
এবার টলিপাড়ার সুপারস্টার আনন্দের খবর দিয়ে বললেন, “খুব শিগগির কিছু ঘটতে চলেছে। আমাদের অতি পরিচিত দুই পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখার্জি ও নন্দিতা রায় ‘প্রাক্তন টু’ করতে চান। আমাকে দেবশ্রী রায় এবং ঋতুকে নিয়ে।”
এর আগে ‘আমি যখন হেমা মালিনী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন—“দেব-শুভশ্রী জুটির পর আমি চাই আবার প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটি ফিরুক, এই জুটিটা ফেরার অত্যন্ত প্রয়োজন।” ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিতের এই বক্তব্য প্রসেনজিৎকে জানানো হয়।
এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, “আমি তো চাই দীপকদা একটা স্ক্রিপ্ট লিখুক আমাদের জন্য, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল এবং আমি অনেকবার দীপকদাকে বলেছি যে, আমি তোমার পরিচালনায় একটা কাজ করতে চাই। দীপকদা, আমাদের জন্য যদি পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি সিনেমা করতে চাই। আর আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেবশ্রীর সঙ্গে আবারো একটা পরিণত প্রেমের সিনেমা করতে চাই।”
তাহলে কী পুরোনো তিক্ততা ভুলে গেছেন প্রসেনজিৎ? জবাবে এই নায়ক বলেছিলেন, “আমার কারো সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই। যে আমার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবে, আমি সব সময় তাদের জন্য আছি। আর কোনো তিক্ততা নিয়ে বাঁচতে চাই না, যে কটা দিন আছি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নিয়েই থাকতে চাই।”
এক সময় দেবশ্রীকে নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না প্রসেনজিৎ। তবে অভিমান ভুলে কাজের ক্ষেত্রে আবার এক হওয়ার কথা বললেন তিনি। বর্তমানকে ভালোবেসে যেমন এগিয়ে যান, ঠিক তেমনই কি অতীতকেও আঁকড়ে বাঁচেন?
এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, “নিজের অতীতকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। মাঝেমাঝেই আমি আমার অতীতে ফিরে যাই; সেই সময়গুলোর জন্যই আজকের আমি। অতীত আমাকে অনেক ভালোবাসা, রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যেটা অল্প কিন্তু তবু আছে সেটা হলো—ঘৃণা। সেটাও পেয়েছি, তবে অতীত যেমনই হোক না কেন, তাকে কখনো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতীতে ফিরে যাই।”
সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রসেনজিৎ। তার ভাষায়—“এই বদলগুলোকে মেনে না নিলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রচুর বদল দেখেছি, তবে যেই সময় যেটা এসেছে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি, এটাই তো করা উচিত। না হলে বর্তমান প্রজন্ম থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”
দেবশ্রী-প্রসেনজিৎ অনেক ছোটবেলা থেকে একে অপরকে চিনতেন। ১৯৯২ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন দেবশ্রী-প্রসেনজিৎ। ১৯৯৫ সালে এ সংসার ভেঙে যায়। ১৯৯৭ সালে অপর্ণা গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে ঘর বাঁধেন প্রসেনেজিৎ। কিন্তু এই বিয়েও ভেঙে যায়। বর্তমানে অর্পিতাকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন এই নায়ক।
ঢাকা/শান্ত