সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির নামে মেঘনা ব্যাংকে থাকা ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৫টি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ বুধবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সিআইডি বলছে, অনুসন্ধানে অবৈধ অর্থ দিয়ে এসব শেয়ার কেনার প্রমাণ পাওয়ায় আদালতের নির্দেশে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী ছাড়া অন্য যে দুজনের শেয়ার অবরুদ্ধ হয়েছে, তাঁরা হলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সিআইডি বলেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন ব্যক্তিগত হিসাব ও তাঁদের কাগুজে প্রতিষ্ঠান স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেডের নামে মোট ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ২০০ শেয়ার কেনা হয়। যার তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৫৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এসব শেয়ার পরে স্টক ডিভিডেন্ড যোগ হয়ে মোট শেয়ারের সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৫টিতে উন্নীত হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, জালিয়াতি ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ অর্জন করেছেন উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অর্থের একটি অংশ বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয় এবং আবার তা দেশে এনে বৈধ করার চেষ্টা করা হয় বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ২০২২ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে মোট ২ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৪৪ মার্কিন ডলার দেশে আনা হয়। এই টাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সহযোগী আবুল কাসেমের মাধ্যমে ইউসিবি ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংকের এফসি অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পরবর্তী সময়ে ইমরানা জামান চৌধুরী ও স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেডের নামে মোট ৬০ কোটি টাকা নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করা হয়। ওই অর্থ কমিউনিটি ব্যাংকের একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে ৫৯ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা মেঘনা ব্যাংকের শেয়ার কেনায় ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুনসাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ২২ ঘণ্টা আগে

সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটিতে উৎপল পালকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ আদিলকে পরিচালক হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাঁরা দুজনেই সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপেরও কর্মচারী এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে সিআইডির অনুসন্ধানে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত গতকাল মঙ্গলবার সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দের আদেশ প্রদান করেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো.

সাব্বির ফয়েজ গতকাল সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ য় র অবর দ ধ স আইড র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানসহ তিন ব্যক্তির শেয়ার অবরুদ্ধ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির নামে মেঘনা ব্যাংকে থাকা ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৫টি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ বুধবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সিআইডি বলছে, অনুসন্ধানে অবৈধ অর্থ দিয়ে এসব শেয়ার কেনার প্রমাণ পাওয়ায় আদালতের নির্দেশে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী ছাড়া অন্য যে দুজনের শেয়ার অবরুদ্ধ হয়েছে, তাঁরা হলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান।

অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সিআইডি বলেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন ব্যক্তিগত হিসাব ও তাঁদের কাগুজে প্রতিষ্ঠান স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেডের নামে মোট ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ২০০ শেয়ার কেনা হয়। যার তৎকালীন বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৫৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এসব শেয়ার পরে স্টক ডিভিডেন্ড যোগ হয়ে মোট শেয়ারের সংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৫টিতে উন্নীত হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, জালিয়াতি ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ অর্জন করেছেন উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অর্থের একটি অংশ বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয় এবং আবার তা দেশে এনে বৈধ করার চেষ্টা করা হয় বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ২০২২ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে মোট ২ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৪৪ মার্কিন ডলার দেশে আনা হয়। এই টাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সহযোগী আবুল কাসেমের মাধ্যমে ইউসিবি ব্যাংক ও এনআরবিসি ব্যাংকের এফসি অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পরবর্তী সময়ে ইমরানা জামান চৌধুরী ও স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেডের নামে মোট ৬০ কোটি টাকা নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করা হয়। ওই অর্থ কমিউনিটি ব্যাংকের একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে ৫৯ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা মেঘনা ব্যাংকের শেয়ার কেনায় ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুনসাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ২২ ঘণ্টা আগে

সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটিতে উৎপল পালকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ আদিলকে পরিচালক হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাঁরা দুজনেই সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপেরও কর্মচারী এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে সিআইডির অনুসন্ধানে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত গতকাল মঙ্গলবার সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দের আদেশ প্রদান করেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ গতকাল সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ