সৌদি আরবকে ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ ঘোষণা ট্রাম্পের
Published: 19th, November 2025 GMT
সৌদি আরবকে ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে মনোনীত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সম্মান জানিয়ে আয়োজিত নৈশভোজে তিনি এ ঘোষণা দেন। খবর আলজাজিরার।
নৈশভোজে অতিথিদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, “আজ রাতে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমরা আমাদের সামরিক সহযোগিতাকে আরো উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি—সৌদি আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র হিসেবে ঘোষণা করে। এটি তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।”
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত মাত্র ১৯টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এই বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ মর্যাদা পাওয়ার ফলে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা, অস্ত্র ক্রয় ও গোয়েন্দা সহযোগিতায় আরও ঘনিষ্ঠ সুযোগ পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ মর্যাদা হলো ন্যাটোর বাইরে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদার দেশগুলোর জন্য একটি বিশেষ স্বীকৃতি। এই মর্যাদায় অস্ত্র কেনা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও গোয়েন্দা তথ্য আদান–প্রদানে অতিরিক্ত সুবিধা মিললেও কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হয় না। বর্তমানে ইসরায়েল, কাতার, কুয়েতসহ ১৯টি দেশ এ মর্যাদা পেয়েছে। এবার এই তালিকায় সৌদি আরবকে যুক্ত করার ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেবেন ট্রাম্প, ইসরায়েল কেন এ নিয়ে উদ্বিগ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার বলেছেন, তিনি সৌদি আরবের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রিতে অনুমোদন দেবেন। এর মাধ্যমে আরব দেশগুলোতে ওয়াশিংটনের সংবেদনশীল প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্র বিক্রির নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত মিলছে।
আজ মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
আগের দিন সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এফ-৩৫ বিক্রি করতে যাচ্ছি। হ্যাঁ, আমি এটি করার পরিকল্পনা করছি। তারা সেগুলো কিনতে চায়। ওরা আমাদের খুব ভালো মিত্র।’
আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের অংশ হিসেবে ট্রাম্প সৌদি আরবকে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি করাতে কাজ করছেন। তাঁর ওই চেষ্টার মধ্যেই সৌদি আরবের কাছে অত্যাধুনিক এ সমরাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা এল।এ বক্তব্যের মাধ্যমে ট্রাম্প ওয়াশিংটনের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত রিয়াদের জন্য বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আব্রাহাম অ্যাকর্ডসের অংশ হিসেবে ট্রাম্প সৌদি আরবকে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি করাতে কাজ করছেন। তাঁর ওই চেষ্টার মধ্যেই সৌদি আরবের কাছে অত্যাধুনিক এ সমরাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা এল।
যদিও সৌদি আরবের কর্মকর্তারা তাঁদের দেশ ‘আরব পিস ইনিশিয়েটিভ’–এর প্রতি নিজের প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকার কথা জানিয়েছেন।
আরব পিস ইনিশিয়েটিভে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার শর্ত হিসেবে একটি টেকসই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা আছে।
ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে সম্ভাব্য এ অস্ত্র বিক্রি চুক্তি ইসরায়েলের সামরিক প্রাধান্য সংরক্ষণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ইসরায়েলকে এ সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা আছে।
ইসরায়েলের কয়েকজন কর্মকর্তা এরই মধ্যে সৌদি আবরকে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।ইসরায়েলের কয়েকজন কর্মকর্তা এরই মধ্যে সৌদি আবরকে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।
ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের পুরোনো একটি প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ওই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সামরিক শক্তিতে ইসরায়েলকে তাদের সম্ভাব্য আঞ্চলিক প্রতিপক্ষদের তুলনায় উচ্চতর অবস্থানে রাখার বাধ্যবাধকতা আছে যুক্তরাষ্ট্রের।
১৯৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এই নীতি গ্রহণ করে। পরে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান আনুষ্ঠানিকভাবে এ নীতির স্বীকৃতি দেন। চার দশকের বেশি সময় ধরে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি এ নীতিতে পরিচালিত হয়ে আসছে।
তেল আবিবে মহড়ায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর একটি এফ-৩৫ লাইটনিং যুদ্ধবিমান। ২৬ এপ্রিল ২০২৩