দেশের ই-কমার্স খাতের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন হবে ৩১ মে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ১১ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেছে ‘টিম ইউনাইটেড’। আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিম ইউনাইটেড।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্যোক্তা পরিবেশ সহজ করাসহ প্রযুক্তি ও নীতিগত উদ্যোগ গ্রহণ, উদ্যোক্তাদের অধিকার রক্ষা, নারী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিতে কাজ করবে টিম ইউনাইটেড। প্যানেলের সদস্যরা হচ্ছেন এজিউর কুইজিনের মোছা.

জান্নাতুল হক, ডায়াবেটিস স্টোর লিমিটেডের মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, পার্পেল আইটি লিমিটেডের ছালেহ আহমদ, নিজল ক্রিয়েটিভের আবু সুফিয়ান নিলাভ ভূঁইয়া, বিক্রয় বাজার ডটকমের এস এম নুরুন নবী, ক্লিন ফোর্স লিমিটেডের মো. তাসদীখ হাবীব, খেত খামারের মো. নুর ইসলাম, নওরিনস মিররের হোসনে আরা, ওয়ান মল লিমিটেডের সাইফুর রহমান, এক্সপ্রেস ইন টাউন লিমিটেডের সৈয়দ উছওয়াত ইমাম এবং ইনসেপশন টেকনোলজিস লিমিটেডের মোহাম্মদ এমরান।

আরও পড়ুনসরকার পতনের পর কোন পথে বেসিস, উই ও ই-ক্যাব০৮ আগস্ট ২০২৪

প্যানেল প্রসঙ্গে মোছা. জান্নাতুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তনের ঢেউ উঠেছে। এই পরিবর্তনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আরও কার্যকরভাবে এগিয়ে নিতে টিম ইউনাইটেড একটি বাস্তবভিত্তিক, প্রযুক্তিসম্পন্ন ও টেকসই পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচন করছে। এই প্যানেল উদ্যোক্তাদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে একটি সম্মিলিত কণ্ঠস্বর গঠনে বিশ্বাসী। আমরা একটি শক্তিশালী, দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল টিম হিসেবে ই-ক্যাবকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৫০২ জন।

আরও পড়ুনই–ক্যাবে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নেতার প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানো নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডাকসুর এক নেতার একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা ওই ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছেন এবং ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য ওই ব্যক্তির ব্যাগে লাঠি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবীণ এক ব্যক্তির সঙ্গে এমন আচরণের প্রতিবাদ জানান। আবার কেউ কেউ এ ঘটনার পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সর্বমিত্র চাকমা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে বৃদ্ধ লোকটিকে দেখছেন, আমি শুরুর দিন থেকে এই লোককে সেই মেট্রোস্টেশন থেকে তুলছি প্রতিরাতে। লোকটা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়-ই না, ওনার সাথে আরেকজন আরও বৃদ্ধ, উনিও মাদকাসক্ত। এই লোকের কাছে এর আগে একবার গাঁজা পাওয়া গেছিল। এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন, তুললে আগায় ৪ কদম। তাই লাঠিসোঁটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায়–ই না।’

ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সর্বমিত্র যেই মুরুব্বিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছে, তিনি একজন মাদক কারবারি। বেশভূষা দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও সত্য হচ্ছে, তিনি ক্যাম্পাস এরিয়ায় মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তাকে বারবার উঠিয়ে দেওয়া হলেও তিনি ক্যাম্পাস এরিয়া ছাড়ছেন না। কারণ, এইখানে তার মাদকের কারবার!  সর্বমিত্রের নিজেই লাঠি হাতে নিয়ে মুরুব্বিকে শাসানোর এই অ্যাপ্রোচকে আমি ঠিক মনে করি না। প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে ব্যাপারটা আরও সুন্দর হতো।’

ঘটনার সমালোচনা করেছেন ছাত্রদলের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম হোসেন। ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘বাবা, তুমি একটু শান্ত হও, তার হাঁটুর বয়সও হয়নি তোমার। ক্ষমতা পাইছ, তার মানে এই না যে অপব্যবহার করবে। সেদিন তো ছবি তোলা নিয়ে কত জ্ঞান দিলেন—মবের ছবি তোলা নিষিদ্ধ, আজকে কে যেন ভুলে ভিডিও করছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ