ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পুলিশের হেফাজত থেকে আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমানকে ছাত্রদল নেতা জয়নাল ভূঁইয়া ও তাঁর সঙ্গীরা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ধস্তাধস্তির মধ্যে পড়ে স্থানীয় চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম আহত হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্রদল নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার চাতলপাড় পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে চাতলপাড় ইউনিয়নে অভিযান চালায় পুলিশ। চাতলপাড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুপ রায় ও যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমানকে চাতলপাড় বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তারের পরপরই চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল ভূঁইয়া ও তাঁর সঙ্গীরা পুলিশের গতিরোধ করে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। এ সময় পুলিশ সদস্যদের ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তির মুখোমুখি হতে হয়। তখন এসআই রফিকুল ইসলাম আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে জয়নাল ভূঁইয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আহত এসআই রফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তবে জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।’

আটক আওয়ামী লীগ নেতা অরুপ রায় চাতলপাড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং একই গ্রামের অবনী রায়ের ছেলে। ছাত্রদল নেতা জয়নাল ভূঁইয়া একই গ্রামের আসাদুজ্জামান ভূঁইয়ার ছেলে। পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মশিউর রহমানও আসাদুজ্জামানের ছেলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে পুলিশ তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তাঁর।

নাসিরনগর থানার ওসি মো.

খায়রুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজনকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছি। তবে ছাত্রদল নেতারা কাউকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন, এমন তথ্য আমার জানা নেই।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল ন ত আওয় ম ল গ ন ত ছ ত রদল ন ত জয়ন ল ভ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ