আমিরাতের ক্লাবকে গোলবন্যায় ভাসালো জুভেন্টাস
Published: 19th, June 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনের বিপক্ষে দারুণ এক গোল উৎসব করেছে জুভেন্টাস। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের অডি ফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৫-০ গোলের বড় জয় তুলে নিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
ম্যাচজুড়েই ছিল জুভেন্টাসের দাপট। একের পর এক আক্রমণে শুরু থেকেই কোণঠাসা করে রাখে মধ্যপ্রাচ্যের দলটিকে। বিপরীতে পুরো ম্যাচে কোনো উল্লেখযোগ্য সুযোগই তৈরি করতে পারেনি আল আইন। খেলার শুরুতেই গোলের সূচনা করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড র্যান্ডাল কোলো মুয়ানি। ১১ মিনিটে গোল করে জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন তিনি। এরপর ২১ মিনিটে কনসেসাও এবং ৩১ মিনিটে ইল্ডিজের গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তুরিনের বুড়িরা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আবারও গোল করেন মুয়ানি, তার দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার বজায় রাখে জুভেন্টাস। তবে ৫৮ মিনিটে কনসেসাওর করা একমাত্র গোলেই দ্বিতীয়ার্ধের স্কোরলাইন নির্ধারিত হয়। শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইগোর টুডোরের শিষ্যরা। একই গ্রুপ থেকে কাল রাতে উইদাদকে ২-০ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি।
এদিকে একই দিনে গ্রুপ ‘এইচ’-এর আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবার্গ ও মেক্সিকান ক্লাব সিএফ পাচুকা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সেই ম্যাচে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে সালজবার্গ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
নবদম্পতির বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর
বিয়ের পর নবদম্পতির মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ঘটকালির উপহার হিসেবে লুঙ্গি দেওয়ার কথা বলে এক বিয়ের ঘটককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির নাম মজিবর শেখ (৬৫)। তিনি শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মজিবরের ছোট ভাই নজরুল শেখ শেরপুর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, আহত অবস্থায় মজিবর শেখকে গত রোববার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার শরীরে মারধরের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুন সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের (২১) সঙ্গে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মুন্নার (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের ঘটক ছিলেন মজিবর শেখ। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বর ও তার পরিবারের সদস্যরা কনে সুমাইয়াকে নিয়ে যান।
শজিমেক হাসপাতাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি গেছেন। মোবাইল ফোনে মজিবর শেখ বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় সুঘাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে জহুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তারা অভিযোগ করেন, বিয়ের পর মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না। এরপর তারা একটি গাছের সঙ্গে আমাকে বেঁধে স্যান্ডেলের সঙ্গে গরুর গোবর লাগিয়ে এবং লাঠি দিয়ে হাতে, পায়ে ও মাথায় মারধর করেন। সন্ধ্যা ৭টা থেকে কমপক্ষে এক ঘণ্টা ধরে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে আমার ভাই নজরুল শেখ এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।’
কনের বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন, ৯ জুন তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়েছেন। মেয়েকে তুলে দেওয়ার দুই দিন পর থেকেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ে ও তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের মেনে নিতে পারছেন না। বিয়ের আগে ঘটক মজিবর শেখ জানিয়েছিলেন ছেলের পরিবার খুব ভালো। এ কারণে তার পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে একটু মারধর করেছেন।
মজিবর শেখের ছেলে সোনাউল্লাহ শেখ বলেন, তার বাবা কোনো পেশাদার ঘটক নন; টাকার বিনিময়ে ঘটকালিও করেন না। উপহারের কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়ে যেভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা অমানবিক।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় বুধবার পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মারধরের সত্যতা মিলেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।