মহানবী (সা.) এর বিদায় হজ উপলক্ষে রাজশাহীতে সেমিনার
Published: 20th, June 2025 GMT
রাসূলে আকরাম (সা.) এর বিদায় হজ এবং ঈদে গ্বাদীর উপলক্ষে শুক্রবার (২০ জুন) সকালে রাজশাহীর শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইমামিয়া ওলামা সোসাইটির সেক্রেটারি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ড.
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ রাসুলে আকরাম (সা.) ইসলামিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মোহাম্মদ আলী মোর্তজা।
আরো পড়ুন:
ভাঙা নয়, মূল নকশায় ফিরছে ভাস্কর্য ‘অঞ্জলি লহ মোর’: উপাচার্য
ইউরোপীয় গুপ্তচর যেভাবে মক্কায় ঢুকেছিলেন
রাজশাহী সুগার মিলস লিমিটেডের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ওসমান গণী, রাজশাহী আলিয়া মাদ্রাসা ও আল মোস্তফা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষার শিক্ষক ড. আব্দুল হান্নান ইমামি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পবিত্র কুরআন ও আহলে বাইত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন ড. আব্দুল্লাহ, কুষ্টিয়ার আমলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আ.জ.ম মনিরুল ইসলাম, বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক টিপু সুলতান, রাজশাহীর মোহাম্মদ আমীন (সা.) ফার্সি শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন শেখ আলী আকবর।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিদায় হজে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত জনসমুদ্রের উদ্দেশে রাসুল (সা.) এক যুগান্তকারী ভাষণ দেন। এ ভাষণে বিশ্বমানবতার সবকিছুর দিক নির্দেশনা ছিল। মুসলমানরা যাতে তাদের দীন থেকে বিচ্যুত না হয়, সেজন্য ছিল বিশেষ দিক নির্দেশনা। মহানবী (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণে বলেন, তোমরা যতদিন পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বায়েতকে অনুসরণ করবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না। পবিত্র ঈদে গাদির উপলক্ষে বক্তারা বলেন, ঈদে গাদির ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। গাদিরে খুমের ভাষণে রাসূল (সা.) ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য যে নির্দেশনা দিয়েছেন বিশেষ করে হযরত আলী (আ.) এর মর্যাদা ও মহাত্ম্য সম্পর্কে দীপ্ত কণ্ঠে যে ঘোষণা দিয়েছেন তা মুসলিম উম্মাহর জন্য স্পষ্ট পথ নির্দেশনা।
সেমিনারে বেলায়েতের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, পবিত্র কোরআনের আলোকে "বেলায়াত" একটি মৌলিক বিষয়। মু'মীনের ইহজাগতিক জীবন অর্থপূর্ণ হয় না এই বেলায়াতের ছায়াতলে অবস্থান গ্রহণ ব্যতীত। তদ্রুপ তার সকল আমলের পারলৌকিক মূল্যমান নির্ভর করে এই বেলায়াতের আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার মাধ্যমে। এই কারণে মহানবী (সা.) গাদীরে খুমের ময়দানে মাওলা আলী (আ.) এর জন্য যে বেলায়েতের অভিষেক করে গেছেন, তা মু'মীন-মুসলমানদের তরফ থেকে গ্রহণ বা বর্জন করার কোনো ঐচ্ছিক বিষয় নয়। বরং এই হকিকতের গভীর মর্মার্থ অনুধাবন করতে হবে এবং বুঝতে হবে বেলায়াত ধারণ না করলে জীবন অর্থপূর্ণ হবে না। আয়াতুল কুরসিসহ কোরআনের একাধিক আয়াত এবং অসংখ্য সহীহ হাদীস থেকে এই সত্য অনায়াসে প্রমাণিত।
সেমিনার শেষে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ কুইজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন রাজশাহীর মোহাম্মদ আমীন (সা.) ফার্সি শিক্ষা কেন্দ্রের সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মদ মাজিদুল ইসলাম।
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম ম হ ম মদ ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সকল ধর্মের মর্মবাণী মানব কল্যাণ, শান্তি ও দেশপ্রেম।
রবিবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন কর্তৃক শুভ মহালয়া ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সকল ধর্মই আমাদের অন্যায়, অবিচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রেরণা যোগায়। আমাদের আত্মশুদ্ধির সুযোগ করে দেয়। মানবসেবা ও দেশাত্মবোধের চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে।’’
শারদীয় দুর্গোৎসবকে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসব উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। এটি শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, বাংলাদেশের সকলের উৎসব। এ উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচিত হয়, সমাজের সকল মানবসৃষ্ট ভেদাভেদ, বৈষম্য দূরীভূত হয় এবং সকলের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়।’’
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। একইসঙ্গে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে যেন কোনো স্বার্থান্বেষী মহল অপচেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম//