বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি এ টি এম মাসুম বলেছেন, “জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন হিসেবেই আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছি।” 

শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে জেলা জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের চারটি পৌরসভার মেয়র, পাঁচটি উপজেলার চেয়ারম্যান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৫৪টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে জামায়াত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। 

আরো পড়ুন:

নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন মুফতি আমির হামজা

জামায়াতে ইসলামীতে কোনো কোন্দল নেই: মুফতি আমির হামজা

এ টি এম মাসুম বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কারণে দেশে যে জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে, জনগণ তা আর চায় না। কেউ জুলুম, অত্যাচার কিংবা হামলা-মামলা চায় না। জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ।”

তিনি বলেন, “গত ১০ মাসে জামায়াত জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। জনগণ জামায়াতকে ভোট দিতে চায়। কারণ তাদের মতে, অনেক দল দেখেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি। তাই তারা এখন জামায়াতের ওপর আস্থা রাখতে চান। সে কারণেই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছি।”

সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমির এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড.

মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট নজির আহমদ, সেক্রেটারি এ.আর. হাফিজ উল্লাহ, মজলিসে শূরা সদস্য ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, পৌর আমির অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান।

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনগণ র

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫৬ কোটি টাকা কি পানিতে গেল

দেশের ১৪টি জেলায় ডাকব্যবস্থাকে আধুনিক ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মেইল প্রসেসিং ও লজিস্টিক সার্ভিস সেন্টার (এমপিসি) নির্মাণ করেছিল। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এই সেন্টারগুলো কার্যত অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে, শতকোটি টাকার সরঞ্জাম পরিণত হয়েছে ‘ভাগাড়ে’। এভাবে জনগণের অর্থ অপচয়ের প্রকল্প খুবই হতাশাজনক। এ প্রকল্প কেন ব্যর্থ হলো, কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে এখন। 

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ২৮৯ কোটি টাকার সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৩ ধরনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মতো প্রধান সেন্টারগুলোতেও অনেক সরঞ্জাম এখনো বাক্সবন্দী বা অযত্নে পড়ে আছে। মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে গেট, ট্রলি, এক্স-রে গুডস—সবকিছুই অব্যবহৃত। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতেও একই চিত্র। ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম—সবখানেই কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অলস পড়ে আছে, অনেকগুলো আবার নষ্ট, যা পচনশীল পণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ একটি সরঞ্জাম চিলার চেম্বার, সেটিরও কোনো ব্যবহার নেই।

সার্ভিস সেন্টারগুলো চালু না হওয়ার কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে সফটওয়্যারের অভাব এবং দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাব। স্মার্ট পোস্টেজ সলিউশন (এসপিএস) চালুর জন্য সফটওয়্যার না দেওয়ায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ৪২০ সেট হার্ডওয়্যারও অব্যবহৃত। এমনকি এই এসপিএস প্যাকেজ এমপিসি প্রকল্পের অধীনে কেনার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, কারণ এটি মূলত ডাকঘরের পার্সেল ও ই-কমার্স সেবার জন্য কেনা হয়েছিল। এটি কি কেবলই ভুল পরিকল্পনা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করেছে? সম্ভাব্যতা যাচাই ও চাহিদার মূল্যায়ন না করায় এ প্রকল্পটির এমন বেহাল পরিণতি হলো। এখানে সরঞ্জাম কেনার পেছনে বাণিজ্যিক স্বার্থ জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এটি একটি গুরুতর অভিযোগ, যার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি।

ডাক বিভাগের ওয়েবসাইটে এমপিসি সম্পর্কে কোনো তথ্য না থাকা এবং প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট জবাব না পাওয়ার বিষয়টিতে স্পষ্ট হয়, এখানে জবাবদিহির চরম অভাব ছিল। প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাঁরাই এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের কাছে অবশ্যই জানতে চাওয়া হোক কেন বিপুল ব্যয়ে প্রকল্পটি গ্রহণ করার পর এর বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করা হলো না? কেন অদরকারি সরঞ্জাম কেনা হলো? 

জনগণের টাকার এমন অপচয় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে এই এমপিসি প্রকল্পের একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। কারা এই অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী, কেন শতকোটি টাকার সরঞ্জাম অকেজো হয়ে পড়ে আছে এবং কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব, তা খুঁজে বের করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরানে হামলা করে যে উভয়সংকটে ইসরায়েল
  • এই সংঘাতের বিস্তার হলে যে আগুন জ্বলবে, তা কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না
  • ইরানের জনগণের ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে
  • সারা দেশে দাঁড়িপাল্লার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে: গোলাম পরওয়ার
  • সরাসরি: ইরানজুড়ে ‘ক্রোধ ও বিজয়’ মিছিলে ইসরায়েলবিরোধী ঐক্যের বার্তা
  • ৩৫৬ কোটি টাকা কি পানিতে গেল
  • ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন হ্যাক করে ‘জনগণের প্রতি জেগে ওঠার’ আহ্বান
  • ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা ‘অনেকের পছন্দ হয় নাই’: মির্জা ফখরুল
  • লন্ডনের বৈঠক পছন্দ না হওয়ায় আলোচনায় আসেনি একটি দল: মির্জা ফখরুল