ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাস ও যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এতে ক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলার কোরিয়ান ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- ধোবাউড়া থানার বরাটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের স্ত্রী জবেদা খাতুন (৮৫) ও ফুলপুর থানার মদিপুর সুতারপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুলপুর উপজেলার কোরিয়ান ব্রিজ এলাকায় হালুয়াঘাট থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী বাংলা পরিবহনের বাসের সঙ্গে ময়মনসিংহ থেকে হালুয়াঘাটগামী মাহেন্দ্র অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন নারী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফুলপুর থানার ওসি তদন্ত মো.

আজহারুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন। 

ফুলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব অফিসার মো. লুতফুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। নিহতদের লাশ উদ্ধার করার সময় একদল উত্তেজিত জনতা আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে। পরে তারা দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। 

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় যান চলাচল কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকলেও পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বরগুনায় ১২ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চারজনের মৃত্যু

বরগুনার পাথরঘাটায় গত ১২ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো চারজন রোগী মারা গেছেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা সিভিল সার্জন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ১৫১ জনের।

সিভিল সার্জন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন জন এবং খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু 

সর্বশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের সুজন ঢালীর মেয়ে শুল্কা ঢালী (১৩), আমড়াতলা এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে হাসান (২৫), কাকচিড়া ইউনিয়নের হরিদ্রা গ্রামের নাসির মোল্লার ছেলে সিদ্দিক মোল্লা (৪৫) ও সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামের আব্দুর রশিদ মোল্লার স্ত্রী নূরজাহান বেগম (৭৫)।

জেলা সিভিল সার্জন আবু ফাত্তাহ বলেন, ‘‘ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও পরিবারের অবহেলা রোগীকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা অথবা উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ত না।’’

তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টি শেষে এখন প্রখর রোদের কারণে এডিস মশা বংশ বিস্তার করেছে। এ সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৯২৪ জনের।

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ