গরমের সময় অনেকেই আরামের কথা ভেবে মোজা ছাড়াই জুতা পরেন। কেউ আবার স্টাইলের খাতিরেই এমনটা করেন। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এমন প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে, তাঁদের অনেকে স্নিকার্স, লোফারের মতো জুতা পরেন মোজা ছাড়াই। তবে এই অভ্যাস আরামদায়ক মনে হলেও স্বাস্থ্য, বিশেষত পায়ের স্বাস্থ্যের বেলায় বেশ কিছু ক্ষতির কারণ হতে পারে।
১.পায়ে দুর্গন্ধ
আমাদের পায়ে অনেক ঘামগ্রন্থি থাকে, ফলে প্রতিদিন পা ঘেমে যায়। মোজা এই ঘাম শোষণ করে এবং পায়ের ত্বক শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে। মোজা ছাড়া জুতা পরলে ঘাম জমে জুতার ভেতরের পরিবেশ আর্দ্র হয়, যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ফলে পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
মোজা ছাড়া জুতা পরা স্টাইলিশ মনে হলেও নিয়মিত এই অভ্যাস স্বাস্থ্যঝুঁকি ডেকে আনতে পারেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ব্যর্থতা’ শোধরানোর অঙ্গীকার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কারকির
নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি দুর্নীতি দমন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের অঙ্গীকার করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল শুক্রবার জনগণের উদ্দেশে দেওয়া প্রথম ভাষণে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
তরুণদের (জেন–জি) নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের মুখে আগের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই পদে আসেন সুশীলা কারকি। তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি ও অন্যান্য ব্যর্থতা থেকে সৃষ্ট হতাশার কারণেই এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দুই দিন ধরে চলা ব্যাপক বিক্ষোভে কমপক্ষে ৭২ জন নিহত হন। আহত হন ২ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সরকারি–বেসরকারি সম্পত্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট ও পার্লামেন্ট ভবনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি।
সংবিধান ঘোষণার দশম বার্ষিকী উপলক্ষে নেপালের জাতীয় দিবসে সুশীলা কারকি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এই সত্য মেনে নিতে হবে যে সুশাসন ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠার সাংবিধানিক চেতনা ও লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার কারণেই এ বিক্ষোভ হয়েছে।’
গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের মধ্যে আলোচনার পর সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।