বরগুনায় বাসচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
Published: 21st, June 2025 GMT
বরগুনায় বাসচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন জন। শনিবার (২১ জুন) দুপুরে আমতলী উপজেলার কেওড়াবুনিয়া নামক স্থানে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আজিজুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। নিহত অপরজন নারী। তার বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী ইকরা পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত ও তিন জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরে ৩ গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১
ফায়ার সার্ভিসের বরগুনা স্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘‘নিহত ও আহতরা অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।’’
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘ইকরা পরিবহনের বাসটি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
বরগুনায় গণ-অভ্যুত্থানের শোভাযাত্রা শেষে বাসচাপায় ইসলামী আন্দোলনের নেতা নিহত
বরগুনার আমতলীতে গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতির শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রেজাউল করিম (৪০) নামের এক ব্যক্তি বাসচাপায় নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরেক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ঘটখালী গ্যাসপাম্প–সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেজাউল করিম উপজেলার ডালাচারা এলাকার বাসিন্দা ও আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর দলের নেতা-কর্মীরা তাঁর মরদেহ নিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের ঘটখালী এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। পরে বাস আটকের খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে গতকাল শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করেন ইসলামী আন্দোলনের আমতলী শাখার নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যার আগে কর্মসূচি শেষ হয়। সেখান থেকে রেজাউল মোটরসাইকেলে আবদুল হক নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয় বিপরীত দিক থেকে আসা কুয়াকাটাগামী ছন্দা পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই রেজাউল নিহত হন। সেই সঙ্গে আবদুল হক আহত হন। খবর পেয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কটির প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই বাস ও এর কর্মীদের মহিপুর থানায় আটকের খবর পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা।
ইসলামী আন্দোলনের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ‘ঘাতক বাসচালকের কঠোর শাস্তি দাবি করছি আমরা।’
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান।