মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে কোনো সাইকস–পাইকট চুক্তি করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে মুসলিম দেশগুলোর এক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা আমাদের অঞ্চলে রক্তের বিনিময়ে নতুন একটি সাইকস-পাইকট চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থা গড়ে উঠতে দেব না।’

আরও পড়ুনসাইকস-পাইকট চুক্তির মৃত্যু২৯ মে ২০১৬

১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৬ মে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স লন্ডনে এক গোপন চুক্তি করে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তিটি এশিয়া মাইনর চুক্তি হিসেবে পরিচিত। কূটনীতিক মার্ক সাইকস ও ফ্রাঁসোয়া জর্জ পাইকট ছিলেন এর মূল কারিগর। অটোমান সাম্রাজ্যের অংশ ভাগাভাগি করতে এই চুক্তি করা হয়।

আরও পড়ুননেতানিয়াহু আজীবন ক্ষমতায় থাকতে ইরান যুদ্ধকে ব্যবহার করছেন: বিল ক্লিনটন৪৩ মিনিট আগে

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরানি জনগণের দৃঢ়তার ওপর আস্থা প্রকাশ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে দুর্দশার মুখে ঐক্য এবং সুদীর্ঘ রাষ্ট্রীয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ইরানের জনগণ এই দিনগুলো অতিক্রম করতে সক্ষম হবে বলে আশা করি।’

আরও পড়ুননিরাপত্তা পরিষদের উত্তপ্ত বৈঠক: ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান-রাশিয়ার তুলাধোনা৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এরদ য় ন

এছাড়াও পড়ুন:

সরাসরি: ইরানজুড়ে ‘ক্রোধ ও বিজয়’ মিছিলে ইসরায়েলবিরোধী ঐক্যের বার্তা

ইরানের জনগণ শুক্রবার জুমার নামাজের পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশ করেছে। ইহুদিবাদী শাসনের (জায়নিস্ট রেজিম) প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছে তারা। দেশের প্রতি অবিচল সমর্থনের ঘোষণা দিয়ে এদিন সারা দেশে রাস্তায় নেমে আসে ইরানিরা।

ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ লিখেছে, এমন এক সময় ইরানজুড়ে এই বিক্ষোভ হলো, যখন ইসরায়েল তাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে।

আরো পড়ুন:

ইরানের অর্থনৈতিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলা বিপজ্জনক: কাতারের প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ইরান হামলায় যুক্তরাজ্যের অংশগ্রহণ ‘অবৈধ’: ব্রিটিশ অ্যাটর্নি জেনারেল

শুক্রবার জুমার নামাজের পর ‘ক্রোধ ও বিজয়’ শিরোনামে সারা দেশে বিক্ষোভ ও মিছিল হয়েছে।

মিছিলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসনের আগ্রাসী যুদ্ধের নিন্দা জানায়।

কয়েকদিনের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ইরানে পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। 

তাসনিম নিউজ লিখেছে, নির্বিচার ইসরায়েলি হামলার মধ্যে শুক্রবার ইরানিদের উল্লেখযোগ্য মিছিল-সমাবেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিস্মিত করেছে।

ইরানের জনগণ বর্বর ইহুদিবাদী হামলার নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেয় এবং মাতৃভূমির রক্ষায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।

শুক্রবারের এই বিশাল জনসমাগম দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলিদের আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে থাকার দৃশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত, যা প্রমাণ করে যে ইরানিরা কখনো সামরিক হুমকির সামনে আত্মসমর্পণ করবে না বা মাথা নত করবে না।

জায়নবাদী শাসন ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে। তারা ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়, যার ফলে বহু শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক শহীদ হন।

ইরানি সামরিক বাহিনী তাত্ক্ষণিকভাবে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ২০ জুন পর্যন্ত “ট্রু প্রমিজ থ্রি” (সত্য প্রতিশ্রুতি-৩) অভিযানের অংশ হিসেবে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ১৬ দফায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঔপনিবেশিক রীতিনীতি ও অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা
  • ‘জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে’
  • সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
  • ইসরায়েল ইরানকে ভাঙতে চেয়েছিল, উল্টো জুড়ে যাচ্ছে
  • নাগরিক জীবনের ভোগান্তি কবে দূর হবে
  • এই সংঘাতের বিস্তার হলে যে আগুন জ্বলবে, তা কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না
  • জনগণের চাওয়ায় ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা: এ টি এম মাসুম
  • ইরানের জনগণের ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে
  • সরাসরি: ইরানজুড়ে ‘ক্রোধ ও বিজয়’ মিছিলে ইসরায়েলবিরোধী ঐক্যের বার্তা