মানবজাতির সম্মানহানি হয়, এমন এআই তৈরি করা যাবে না: পোপ
Published: 22nd, June 2025 GMT
প্রযুক্তির উৎকর্ষ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে অনেক কাজ করে দিচ্ছে মেশিন। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছেন পোপ লিও চতুর্দশ। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু বলেছেন, এমন এআই তৈরি করতে হবে, যাতে মানবজাতির কোনো সম্মানহানি না হয়।
শুক্রবার বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীদের এক সম্মেলনে এই বার্তা পাঠিয়েছেন পোপ লিও চতুর্দশ। তিনি বলেছেন, এআই তৈরির ক্ষেত্রে মানবজাতির কল্যাণের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। এটা শুধু বস্তুগত নয়; বরং বুদ্ধিবৃত্তিক ও আধ্যাত্মিক দিক থেকেও হতে হবে।
পোপ লিও চতুর্দশ বলেছেন, কোনো প্রজন্মই আগে কখনো দ্রুত বিপুল সংখ্যক তথ্যের নাগাল পায়নি, যেমনটা এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। তবে তথ্যপ্রাপ্তির এই সুযোগ যতই বিস্তৃত হোক না কেন, এটাকে মানবজাতির বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না।
শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও স্নায়বিক বিকাশের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোপ লিও। শীর্ষ প্রযুক্তি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিশুরা ঈশ্বর প্রদত্ত যে প্রতিভা ও সক্ষমতা পায়, তা বিকাশের সুযোগ দেওয়ার ওপর সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ নির্ভর করে।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে শুক্রবার ইতালির রোমে দ্বিতীয়বারের মতো বার্ষিক এই সম্মেলন শুরু হয়। গুগল, ওপেনএআই, আইবিএম ও মেটার মতো শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের পাশাপাশি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাও দুই দিনের এই সম্মেলনে অংশ নেন।
পোপ সেই সম্মেলনে পাঠানো বার্তায় আরও বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক ব্যবহার থাকলেও এটাকে আত্মস্বার্থে ও অন্যদের ক্ষতি করার জন্য অপব্যবহারের ঝুঁকিও রয়েছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত র ম নবজ ত র ব যবহ র বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রেপ্তার নয়, আমাকে বাসা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল: মডেল মেঘনা
রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় চেয়ে আবেদন করেছেন মডেল মেঘনা আলম। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি মডেল নই, পলিটিক্যাল লিডারশিপ ট্রেইনার। আমাকে গ্রেপ্তার নয়, বাসা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।’
আজ রোববার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির হন মেঘনা আলম। এরপর তার আইনজীবী মহসিন রেজা পলাশ ও মহিমা ইসলাম বাঁধন জব্দ থাকা মোবাইল, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
শুনানি শেষে মেঘনা আলম বলেন, ‘গত ৯ এপ্রিল আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বলা ভুল হবে। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। কারণ গ্রেপ্তার করার একটি আইনি প্রক্রিয়া থাকে, সেটা মানা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। আইনের লোক হোক বা না হোক, আমার বাসায় এসে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালিয়ে জোর করে নিয়ে যায়। এটাকে আইনি ভাষায় অপহরণ বলে, গ্রেপ্তার বলে না।’
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল ডিটেনশন আইনে মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। ওইদিনই কারামুক্ত হন তিনি। এর পর থেকে তিনি জামিনে আছেন।
গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পর দিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনা কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া গ্রেপ্তারের পর গত ১২ এপ্রিল ভাটারা থানার প্রতারণা মামলায় দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২২ এপ্রিল এ মামলায় তার আরও ৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে গত ২৭ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ দিকে চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েকে দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধপন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। সম্প্রতি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনা আলমের সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে।