Risingbd:
2025-11-10@20:05:21 GMT

ফের আইনি জটিলতায় সালমান খান

Published: 5th, November 2025 GMT

ফের আইনি জটিলতায় সালমান খান

আবারো আইনি জটিলতায় পড়েছেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান। ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য প্রচারের অভিযোগে রাজস্থানের কোটার ভোক্তা আদালতে এ অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রাজস্থানের হাইকোর্টের আইনজীবী ও সিনিয়র বিজেপি নেতা ইন্দর মোহন সিং হানি অভিযোগটি দায়ের করেন। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এ খবর প্রকাশ করেছে। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজশ্রী পান মসলা নামের প্রতিষ্ঠান ও তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সালমান খান ‘জাফরান মিশ্রিত এলাচ’ ও ‘জাফরান মিশ্রিত পান মসলা’ হিসেবে পণ্যের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। আবেদনকারীর দাবি, জাফরান বা কেশরের প্রতি কিলোগ্রামের দাম প্রায় ৪ লাখ রুপি, তা ৫ রুপিতে বিক্রি হওয়া কোনো পণ্যে থাকা সম্ভব নয়, এই দাবি একেবারেই অযৌক্তিক। এমন ভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন তরুণদের পান মসলা সেবনে উৎসাহিত করছে, যা ক্রমবর্ধমান ক্যানসারের অন্যতম কারণ। 

আরো পড়ুন:

১৮ বছর পর এক সিনেমায় গোবিন্দ-সালমান?

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?

অ্যাডভোকেট ইন্দর মোহন সিং হানি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, “রাজশ্রী পান মসলা কোম্পানি ও এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সালমান খান দাবি করছেন যে, পণ্যটিতে জাফরান রয়েছে এবং তারা তরুণদের এটি খাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করছেন। সালমান খান অনেকের আদর্শ। আমরা এ নিয়ে কোটার ভোক্তা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি এবং শুনানির জন্য নোটিশ জারি হয়েছে।” 

বিদেশি তারকাদের উদাহরণ টেনে ইন্দর মোহন সিং হানি বলেন, “বিদেশের তারকারা ঠান্ডা পানীয়র প্রচার পর্যন্ত করেন না। কিন্তু আমাদের দেশের তারকারা তামাক ও পান মসলা প্রচার করছেন। আমি তাদের অনুরোধ করছি, তরুণদের কাছে ভুল বার্তা দেবেন না; পান মসলা মুখগহ্বরের ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ।” 

কোটার ভোক্তা আদালত অভিযোগটি গ্রহণের পর সালমান খানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক জবাব চেয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র প ন মসল ন ত কর জ ফর ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় ঢাবিতে মানবেন্দ্র লারমাকে স্মরণ

সাবেক আইনপ্রণেতা ও বিপ্লবী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় এক স্মরণসভায় তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

স্মরণসভার শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন এম এন লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা।

মানবেন্দ্র লারমা গরিব মেহনতি মানুষের নেতা উল্লেখ করে স্মরণসভায় সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘তিনি কেবল পাহাড়ি মানুষের নেতা ছিলেন না। বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সমগ্র নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। তিনি বাহাত্তরের সংবিধানে আদিবাসী, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি সে সময় সংসদে দাড়িয়ে দৃঢ় কণ্ঠে প্রতিবাদ করেছিলেন যে তিনি একজন চাকমা, একজন চাকমা কোনো দিন বাঙালি হতে পারেন না।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, ‘জুলাই সনদে আজকে আদিবাসী মানুষের কথা বলা নেই। অথচ কেবল মুখে বহুত্ববাদী, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। বিগত সময়ের দলীয় সরকার নাহয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি। কিন্তু গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পাহাড়ি আদিবাসীরা কমপক্ষে দুটি সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে রাজনৈতিভাবে সমাধানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো উচ্চারণ করেনি।’

ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক বলেন, ‘চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান যে চেতনা নিয়ে শুরু হয়েছিল, আজ সেই চেতনা মৌলবাদী শক্তির কাছে লুট হয়ে গেছে। সত্তরের দশকে নতুন বাংলাদেশে মহান নেতা মানবেন্দ্র লারমা সেই স্বপ্ন দেখছিলেন, যে স্বপ্ন একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার, গরিব মেহনতি তথা নিপীড়িত পাহাড়ি আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুনেছিলেন।’

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে নিপীড়িত মানুষের অধিকারের কথা বলা হয়নি, নারী-পুরুষের বৈষম্য বিলোপ এবং মেহনতি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়নি। সে সময় শোষিত মানুষের বন্ধু মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তাঁদের হয়ে কথা বলেছেন। তিনি সংবিধান প্রণয়নের সময় শ্রমিক, গরিব ও আদিবাসী নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশের যত রাজনৈতিক দল আছে, তারা অন্য জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার মতো মানসিকতা এখনো তৈরি করতে পারেনি। ভোটের আগে মুখে বললেও তা বাস্তবে বাস্তবায়ন করে না।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি রতন বলেন, ‘মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা জুম্ম জাতির জন্য ছাত্রজীবন থেকে অধিকারের কথা বলেছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সংবিধান যখন বাঙালি বলে আদিবাসী মানুষের পরিচয় করে দিতে চেয়েছিল, সেই সময় গণপরিষদে এম এন লারমা প্রতিবাদ করেছিলেন।’

স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন লেখক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, সাংবাদিক সাইফুর রহমান, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা ও নারীনেত্রী শিরিন হক। স্মরণসভা শেষে গান, কবিতা পাঠ ও প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ