কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে রুবেল (৩০) নামের এক পর্যটকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে কলাতলীর ‘হাইফেরিয়ন হোয়াইট প্যালেস’ হোটেলের ৪০৭ নম্বর কক্ষে অসুস্থ হওয়া এই পর্যটককে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রুবেল নওগাঁ জেলার শীবরামপুর এলাকার লাল বরের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই কক্ষ থেকে তিন পুরুষ ও দুই নারীকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।

হোটেলের ম্যানেজার নাজমুল হক বলেন, “নওগাঁ থেকে আসা চারজন পর্যটক হোটেলের একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাদের সঙ্গে আরো দুই তরুণী যুক্ত হন। পরে সবাই মদ্যপান করেন। বুধবার সকালে রুবেল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

তিনি আরো বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই ওই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ পাঁচ জনকে হেফাজতে নিয়েছে।”

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, “বিভিন্ন হোটেলে মাদক ও অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। এ ধরনের ঘটনায় অনেক সময় হোটেল কর্তৃপক্ষেরও যোগসাজশ থাকে। ঘটনাটি সেই ধরনের কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর যটক

এছাড়াও পড়ুন:

চিড়িয়াখানায় কেমন আছে ‘ডেইজি’

জাতীয় চিড়িয়াখানার সিংহী ‘ডেইজি’ মূল খাঁচা থেকে বের হয়ে পড়েছিল শুক্রবার বিকেলে। চিড়িয়াখানার কর্তব্যরত ব্যক্তিরা তড়িঘড়ি করে একটি লোহার খাঁচা দিয়ে প্রাণীটির পথ আটকে দেন। তা না হলে দর্শনার্থীসহ অন্যদের বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।

গতকাল শনিবার মিরপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, ডেইজির মূল খাঁচার দরজার বাইরে দর্শনার্থী যাতে খাঁচার একদম কাছে যেতে না পারে, সে জন্য লোহার গ্রিলের ব্যারিকেড দেওয়া। তারপর বেশ খানিকটা ফাঁকা জায়গা। ডেইজি এ ফাঁকা জায়গায় চলে এসেছিল।

সিংহী বের হয়ে সেখানকার পানির পাম্পের পাশে হরিণের খাঁচার কাছে বসে। হরিণের দল ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন জুনিয়র অফিসার মো. ওবায়দুল বারী খান। তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা নতুন করে বেড়া লাগিয়েছেন। তাঁদের কোনো ঝুঁকিভাতা নেই বলে জানান ওবায়দুল বারী।

গতকাল ডেইজির শারীরিক ও মানসিক ধকলের কথা চিন্তা করে ডেইজিকে মূল খাঁচার ভেতরের নির্দিষ্ট কক্ষ থেকে বের করা হয়নি। তবে চিড়িয়াখানার কর্মীদের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে পরিচালক বললেন, এমনিতে অন্য দিনের মতোই ডেইজি খাওয়াদাওয়া করছে। তবে পায়চারি করছে ঘনঘন।

শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে খাঁচা থেকে বের হয়ে পড়ে সিংহীটি। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত দর্শনার্থীদের চিড়িয়াখানা থেকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পৌনে দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘ট্রাঙ্কুলাইজারগান’ দিয়ে ইনজেকশন পুশ করে সিংহীটিকে অচেতন করা হয়। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সেটিকে আবার খাঁচায় নেওয়া হয়।

সিংহী ‘ডেইজি’ খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনার পরদিন খাঁচার বেষ্টনী আরও মজবুত করার পরিকল্পনা করছেন কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ