ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বামীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। রোববার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।

সাজা পাওয়া আইয়ুব আলী (৫২) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামের মো.

ইদ্রিস শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আইয়ুব আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই নারী ফজরন বেগমের (৩০) বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পোয়াইল গ্রামে। বোন হত্যার দায়ে তার ভাই আইয়ুব শেখ ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন বোয়ালমারী থানায়। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, গত ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবর রাতে আমার বোনকে স্বামীর বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার শেখর গ্রামে স্বামীর পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য মারধোর করে হত্যা করে। ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারে কোনো লোকজনকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। সব আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন। তিনি বলেন, এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে যৌতুক লোভী মানুষের জন্য, যারা যৌতুক না পেয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য উপজ ল র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে কটাক্ষের শিকার ইয়াশ রোহান, পাশে মেহজাবীন আরশরা

গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্গাপূজার বিজয়া উপলক্ষে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা ইয়াশ রোহান। ছবিতে তাঁকে দুর্গাপ্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ছবির ক্যাপশনে তিনি বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পরই কটাক্ষের শিকার হন এ অভিনেতা। কিছু ব্যবহারকারী ছবিটি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। ইয়াশকে সমর্থন জানাতে এগিয়ে আসেন দেশের বিনোদন অঙ্গনের সহকর্মী ও সাধারণ দর্শকেরাও। তাঁদের বক্তব্য, ধর্মীয় কারণে কোনো শিল্পীকে আক্রমণ করা দুঃখজনক।

ইয়াশ রোহান

সম্পর্কিত নিবন্ধ